জাতীয় নাগরিক পার্টির কমিটিতে নারায়ণগঞ্জের ৫ জন
Published: 2nd, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কমিটিতে নারায়ণগঞ্জের পাঁচজন স্থান পেয়েছেন। তারা হলেন- প্রথম যুগ্ম সদস্য সচিব নারাণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ফতুল্লার পাগলা এলাকার তামিম আহমেদ, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক সোনারগাঁয়ের তুহিন মাহমুদ, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক পদে নারায়ণগঞ্জ শহরের শওকত আলী এবং সদস্য হিসেবে আছেন সদর থানা এলাকার আহমেদুর রহমান তনু।
গত শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ হয়। অনুষ্ঠানে দলটির ২১৭ জনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন এই রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
জানাগেছে, প্রথম যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থী পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটিতেও যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে তিনি ভূমিকা রাখেন।
চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রাখা তামিম আহমেদ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করেন। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন।
এছাড়া যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক তুহিন মাহমুদ সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়নের প্রেমের বাজার এলাকার বাসিন্দা। জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন মাহমুদ বর্তমানে একটি উন্নয়ন সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা এবং হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া শওকত আলী পেশাগত জীবনে শিক্ষকতার পাশাপশি সামাজিক কাজে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা যায়। একসময়ের সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক কর্মী শওকত আলী জাতীয় নাগরিক কমিটিতেও কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন।
আহমেদুর রহমান তনু নারায়ণগঞ্জের সদর থানার নিতাইগঞ্জ এলাকার সন্তান। পেশায় ব্যবসায়ী তনু নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ এল ক র ক কম ট কম ট ত আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।