সাবেক এমপি তানভীর ইমাম, তার স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
Published: 3rd, March 2025 GMT
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, তার স্ত্রী মাহিন ইমাম ও কন্যা মানিজে ইসমত ইমামের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (২ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তানভীর ইমাম আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি প্রয়াত এইচটি ইমামের ছেলে।
দুদক জানায়, মামলায় তানভীর ইমামের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ৬২ লাখ ৩ হাজার ৮৩৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আরেকটি মামলায় তানভীর ইমামের সঙ্গে তার স্ত্রী মাহিন ইমামকে আসামি করা হয়েছে। এতে তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো.
তৃতীয় মামলায় তানভীর ইমামের সঙ্গে তার মেয়ে মানিজে ইসমত ইমামকে আসামি করা হয়েছে। এক কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৭১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই মামলা হয়েছে।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াশকুরুনী বাদী হয়ে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এসব মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।