হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্‌ফ) বাংলাদেশের চিফ মোতাওয়াল্লি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার জন্মদিন উপলক্ষে হামদর্দ প্রধান কার্যালয়ে কোরআন খতম, আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

শনিবার (১ মার্চ ) রাজধানীর বাংলামোটরে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করা হয়।

জন্মদিন উপলক্ষে সকালে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, হামদর্দ পাবলিক কলেজ, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (ইউনানী) লক্ষ্মীপুর, হামদর্দ জেনারেল হাসপাতাল, হাকীম সাঈদ ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, হামদর্দ ইউনানী মেডিকেল কলেজ বগুড়া, হামদর্দ আধুনিক কারখানার সদস্যবৃন্দ, হামদর্দ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ও হামদর্দ কর্মচারী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সহধর্মিণী, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হাকীম কামরুন নাহার হারুন, একুশে পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক, হামদর্দ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ডা.

ইকবাল হাসান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আনিসুল হক, পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) হাকীম সাইফউদ্দিন মুরাদ, তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক আমিরুল মোমেনীন মানিক, হামদর্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুব আনোয়ার এবং ভারতের বিশিষ্ট চিকিৎসক হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ইউনানী চেয়ারম্যান ড. মনোয়ার হোসেন কাজমী বক্তব্য দেন।

বক্তারা হামদর্দের সাফল্যের পেছনে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার অবদানের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, মাত্র ৫০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে হামদর্দ এর যাত্রা শুরু হলেও আজ এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসেবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হামদর্দ শুধু চিকিৎসা ও গবেষণায় নয়, মানবসেবার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।

এ সময় ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করাই তার জীবনের ব্রত। সততা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে সবাইকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে হামদর্দের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া।

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ড ক ল কল জ

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়

শ্রম আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ কবে হবে, সে বিষয়ে আর সময়সীমার কথা বলছে না শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গত নভেম্বর মাসে এই মন্ত্রণালয় বলেছিল, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এ অধ্যাদেশ হবে। মার্চ শেষে এপ্রিলও শেষ হচ্ছে আজ বুধবার।

সচিবালয়ে আজ ‘মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আইন সংশোধনীর ক্ষেত্রে সময়সীমা থাকার পক্ষে নন তিনি। শ্রমিক–মালিকদের স্বার্থ রক্ষাসহ শিগগিরই তা করা হবে। বিষয়টি এখন কোন প্রক্রিয়ায় আছে, তা বলতে রাজি হননি শ্রম উপদেষ্টা।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’। তিনি আরও বলেন, ‘একসময় স্লোগান ছিল দুনিয়ার মজদুর, এক হও।’ এখন তা বদলে গেছে। এখন হবে ‘দুনিয়ার মালিক-শ্রমিক, এক হও’। এখন ভালো মালিকেরা শ্রমিকদের সন্তানের মতো মনে করেন।

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে ১০১টি ধারা ও উপধারা সংশোধন হবে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১০ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

আইএলওর বৈঠকে যোগ দিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে যে দলটি জেনেভা সফর করে, সেখানে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হোসেন সরকার ও শ্রম উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর তৎকালীন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠক থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন হবে। উপদেষ্টা তখন এ–ও বলেছিলেন, আগের সরকারের আইনমন্ত্রীর (আনিসুল হক) নেতৃত্বাধীন দলকে আইএলও পর্ষদে অপদস্থ করা হয়েছিল। অথচ এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো নিয়ে বরং প্রশংসা করা হয়েছে। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলেছিল।

জানা গেছে, শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে ঘাটতির অভিযোগ এনে জাপানসহ ছয়টি দেশের পক্ষ থেকে আইএলওতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো চলমান।

আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদিকে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদকে (টিসিসি) শ্রমিকপক্ষ জানিয়েছে, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে প্রধানত পোশাক খাতের শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মে দিবস আর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ–স্কুল পর্যায়ে রচনা ও প্রবন্ধ লেখার ওপরে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।

এ ছাড়া শ্রম অধিকার বিষয়ে প্রকাশিত বা প্রচারিত মানসম্মত সংবাদ বা স্থিরচিত্র যাচাই করে সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের দেওয়া হবে পুরস্কার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • কর্মক্ষেত্রে অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন
  • সাভারে পোশাক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
  • শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়
  • শিগগিরই শ্রম আইন সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা 
  • আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে শিল্পকলা একাডেমির  দুই দিনের আয়োজন
  • মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের
  • আইনগত সহায়তা দিবসে আলোচনা সভা-শোভাযাত্রা
  • আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন