গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় পরিত্যক্ত খাদ্য গুদাম অপসারণের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় তারা সেখানে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায়। 

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। 

অভিযান চলাকালে দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়, মো.

সোহরাব হোসেন সোহেল ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল

স্ত্রী-মেয়েসহ আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

দুদক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার একটি পুরাতন খাদ্য গুদাম অপসারণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়। এতে আমিনুর এন্টারপ্রাইজসহ ১৪টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে আমিনুর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ১৯ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়। আমিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীর স্বাক্ষর জাল করে টেন্ডার প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেওয়া হয়। ফলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় তাকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা মো. আলভি ট্রেডার্সকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় কাজটি দেয়। এ ঘটনায় সর্বোচ্চ দরদাতা আমিনুর এন্টারপ্রাইজের মালিক দুদকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাইয়ে অভিযান চালানো হয়।

তিনি আরো জানান, অভিযানে টেন্ডারের কাগজপত্রে আমিনুর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারীর স্বাক্ষরের সঙ্গে টেন্ডার প্রত্যাহারের আবেদনের স্বাক্ষরে কোনো মিল পাওয়া যায়নি। পরিত্যক্ত খাদ্য গুদাম অপসারণের টেন্ডার প্রক্রিয়া কমিটির আহ্বায়ক জেলা প্রশাসক। তিনি এখনো এ বিষয়ে কোনো অনুমোদন দেননি। তদন্ত শেষে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ

তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?

সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’

এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’

আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ