বৃত্তি পেলেন ঢাবির ২ বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী
Published: 3rd, March 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নাজমা বেগম ট্রাস্ট ফান্ড ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান সতীর্থ ফোরাম ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে ১২ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান তার অফিস সংলগ্ন সভাকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে এ বৃত্তির চেক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অর্থনীতি বিভাগে বিভিন্ন বর্ষের অধ্যয়নরত ছয়জন শিক্ষার্থীকে অধ্যাপক নাজমা বেগম ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ছয়জন শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সতীর্থ ফোরাম ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কোটা চালু করা হয়েছে: বিন ইয়ামিন
আ.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মাসুদা ইয়াসমীন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নাছিমা খাতুন, অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. ফেরদৌস হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান সতীর্থ ফোরামের অন্যতম দাতা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
ট্রাস্ট ফান্ডের দাতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি গভীর মমতা ধারণ করেন বলেই ট্রাস্ট ফান্ডগুলো গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ উদ্যোগগুলো আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং সমাজকে নিয়ে চলতে শেখায়। এ আয়োজনগুলো করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করি।”
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট ফান্ডগুলো গোছানোর চেষ্টা করছি। আকার ও পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যাতে আরো বহু সংখ্যাক শিক্ষার্থীকে এসব ফান্ডের আওতায় আনা যায়। আমরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকেও সক্রিয় করার চেষ্টা করছি।”
বৃত্তিপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্য করে উপাচার্য বলেন, “এ বয়সে ফাঁদ ও প্রলোভন বেশি। এর থেকে বাঁচতে হলে তোমাদেরকে পরিশ্রম ও নৈতিক শক্তির ওপর বেশি নির্ভর করতে হবে।” কাজের মাধ্যমে ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তির প্রতিদান দিতে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. নাজমা বেগম ৬ লাখ টাকা প্রদানের মাধ্যমে ‘অধ্যাপক নাজমা বেগম ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেন। ট্রাস্ট ফান্ডটির বর্তমান মূলধন ১৫ লাখ টাকা। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ে বিএসএস (সম্মান) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রথম বর্ষের দুইজন, দ্বিতীয় বর্ষের একজন, তৃতীয় বর্ষের একজন, চতুর্থ বর্ষের একজন ও এমএসএস শ্রেণির একজনসহ মোট ছয়জন মেধাবী ও অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীকে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশক্রমে এককালীন ১৫ হাজার ৮২১ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
অপরদিকে, ১৯৭৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ১৭ লাখ টাকা প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সতীর্থ ফোরাম ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেন। ট্রাস্ট ফান্ডটির বর্তমান মূলধন ১৮ লাখ টাকা। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত ছয়জন মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশক্রমে এককালীন ১২ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রব জ ঞ ন ব ভ গ বর ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
মরিচক্ষেতে গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন্দ পয়েন্ট এলাকায় মরিচক্ষেতে একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জমির মালিক সাব্বির আহমদ গ্রেনেডটি দেখতে পেরে পুলিশকে জানান। পুলিশ সেনাবাহিনীকে জানালে শুক্রবার দুপুরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেটি নিষ্ক্রিয় করে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার সাব্বির আহমদের জমিতে একজন কৃষক কাজ করা অবস্থায় গ্রেনেডটি প্রথম দেখতে পান। পরে অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখালে তারা বুঝতে পারেন এটি গ্রেনেড জাতীয় কিছু এবং তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি পরীক্ষা করেন এবং নিশ্চিত হন যে এটি একটি সক্রিয় k36 অথবা M36 মডেলের গ্রেনেড। এরপর তারা নিরাপদ দূরত্বে গ্রেনেডটি নিয়ে যান এবং তা নিষ্ক্রিয় করেন।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. মুখলেছুর রহমান বললেন, স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদেরকে খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। তারা শুক্রবার এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেন।
শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, এটি k36 অথবা M36 মডেলের একটি সক্রিয় গ্রেনেড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই মডেলের গ্রেনেড ব্যবহৃত হতো। এটি এতোদিন মাটি ছাপা ছিলো এখানে অথবা অন্য জায়গা থেকে কেউ এনেছে। পুলিশ আমাদের জানানোর পর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সফলভাবে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।