অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ক্ষেপে গেলেন গম্ভীর
Published: 5th, March 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরু থেকেই এই আলোচনা আছে। টুর্নামেন্টে ‘স্বাগতিক পাকিস্তান, কিন্তু ঘরের মাঠের সুবিধাটা পাচ্ছে ভারত’—দুবাইয়ে সব ম্যাচ খেলা ভারতকে নিয়ে এমন প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক।
কোনো সাধারণ দর্শক নন, ভারতের বাড়তি সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার রেসি ফন ডার ডুসেনও। ফাইনালে ওঠার পর সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভারত কোচ গৌতম গম্ভীরের সামনে প্রশ্ন উঠেছিল। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ক্ষেপে গিয়েছেন গম্ভীর।
গম্ভীরের মেজাজ হারানো অবশ্য নতুন কিছু নয়। তিনি বরং এই প্রশ্নে মেজাজ ধরে রাখতে পারলেই অবাক হতে হতো। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর মেজাজ হারানো দেখে গত নভেম্বরেই তাঁকে সংবাদ সম্মেলনে দেখতে চান না বলে জানিয়েছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক সঞ্জয় মাঞ্জরেকার।
গম্ভীর কাল দাবি করেছেন, ভারত এখানে কোনো বাড়তি সুবিধা পায়নি, ‘দেখুন, প্রথমত, এই ভেন্যু আমাদের জন্য যতটা নিরপেক্ষ, অন্য যেকোনো দলের জন্যও ততটাই নিরপেক্ষ। আমরা এখানে (খুব বেশি) খেলিনি। শেষ কবে এখানে খেলেছি, তা আমার মনে নেই। আসলে, আমরা এমন কোনো পরিকল্পনাই করিনি। পরিকল্পনাটা এমন ছিল যে, যদি আমরা ১৫ সদস্যের দলে দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার রাখি, তাহলে আমরা পাকিস্তানে খেলি বা যেখানেই খেলি না কেন, আমরা দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারকেই খেলাতাম। কারণ এটি উপমহাদেশের একটি টুর্নামেন্ট।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘ব্যাপারটা এমন নয় যে আমরা ইচ্ছে করেই স্পিনের ফাঁদ পাততে চেয়েছি। আপনি যদি দেখেন, প্রথম দুটি ম্যাচে আমরা মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলিয়েছি। এই ম্যাচে এবং আগের ম্যাচে আমরা দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলিয়েছি।’
কাল ভারত ফাইনাল নিশ্চিত করার পর জানা গেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল কোথায় হবে। ভারত হেরে গেলে ফাইনাল হতো লাহোরে, যা এখন হবে দুবাইয়ে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়া তো জানতই না, সেমিফাইনালে তাদের কোথায় খেলতে হবে। তাই আগেভাগেই দুই দল এসে দুবাইয়ে উপস্থিত হয়েছিল। পরে ভারত অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল নিশ্চিতের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরেছে লাহোরে। অন্যদিকে ভারত আগে থেকেই জানে, কোন মাঠে এবং কী ধরনের কন্ডিশনে তারা সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ খেলবে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এ সুবিধা একমাত্র ভারত ছাড়া আর কেউই পাচ্ছে না।
এরপরও গম্ভীরের দল কোনো সুবিধা পাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি। উল্টো ক্ষেপে সমালোচকদের বড় হতে বলেছেন ভারতের প্রধান কোচ, ‘অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। কীসের অতিরিক্ত সুবিধা? আমরা এখানে একদিনও অনুশীলন করিনি। আমরা আইসিসি একাডেমিতে অনুশীলন করছি। ওখানকার কন্ডিশন আর এখানকার কন্ডিশন ১৮০ ডিগ্রি আলাদা। কিছু মানুষ সব সময় অভিযোগ করতেই ভালোবাসে। আসলে তাদের উচিত বড় হওয়া। তাই, আমি মনে করি না যে আমাদের কোনো অতিরিক্ত সুবিধা ছিল।’
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ হারের পর নিজেদেরই দোষ দিয়েছেন, ‘দেখুন, আমি এসব কথায় বিশ্বাস করি না। ঘটনা যা হওয়ার তাই হয়েছে। ভারত এখানে সত্যিই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এই পিচ তাদের খেলার ধরনের সঙ্গে যায়, কারণ তাদের দলে থাকা স্পিনার ও পেসাররা এমন কন্ডিশনের জন্য উপযুক্ত। তারা ভালো খেলেছে, আমাদের হারিয়েছে, এবং যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?
মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।
কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।
জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।
১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।
ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া।
অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ।
ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”
ঢাকা/শান্ত