ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ। ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটার শেষবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে, যেখানে ভারতের বিপক্ষে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে টানলেও হার এড়াতে পারেননি।
১৭০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৪৩.২৮ গড়ে ৫৮০০ রান করেছেন স্মিথ। স্ট্রাইক রেট ৮৬.
তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাবেন স্মিথ। অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি দারুণ এক যাত্রা ছিল এবং আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। দুইটি বিশ্বকাপ জয় আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। অসাধারণ কিছু সতীর্থের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতাও ছিল দারুণ।’
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘এখন তরুণদের প্রস্তুত হওয়ার সময়, তাই মনে হলো এটাই সঠিক সময় বিদায় বলার।’
ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলেও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখেছেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট আমার জন্য এখনও অগ্রাধিকার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, উইন্ডিজ সিরিজ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের জন্য আমি মুখিয়ে আছি। টেস্ট ফরম্যাটে আমি এখনও অনেক কিছু দিতে পারি বলে বিশ্বাস করি।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর দাবি
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন ফ্রিল্যান্সাররা। তবে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে না থাকায় পারিশ্রমিক পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। তাই বাংলাদেশে পেপ্যালসহ বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে দ্রুত চালুর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ও আইটি প্রফেশনাল কমিউনিটি। এ বিষয়ে সরকারের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা বলেন, বিশ্বজুড়ে যখন ফ্রিল্যান্স কাজের মাধ্যমে আয় বাড়ছে, তখন পেমেন্ট গেটওয়ে সমস্যার কারণে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার ও আইটি উদ্যোক্তা রয়েছেন, যারা প্রতিবছর বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেন। কিন্তু এখনও বাংলাদেশে পেপ্যাল, ওয়াইস, স্ট্রিপের মতো জনপ্রিয় পেমেন্ট সেবা চালু হয়নি। ফলে তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে জটিলতায় পড়ছেন।
ফ্রিল্যান্সার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আইটি ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করছেন। ৩ দশমিক ২ শতাংশ বৈশ্বিক বাজার শেয়ার নিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং বাজার। এ কারণে গেটওয়ের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এখনও নানা জটিলতায় দেশে পেপ্যালের মতো আন্তর্জাতিক গেটওয়ে চালু হচ্ছে না। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশে এসব গেটওয়ে চালু আছে।
ফ্রিল্যান্সার আতাউর রহমান বলেন, পেমেন্ট গেটওয়ে না থাকায় ক্রেতাদের ভিন্ন মার্কেটে নিয়ে যাচ্ছে অন্য দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে স্টারলিংক অনুমোদন পেয়েছে। আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক গেটওয়েও বাংলাদেশে চালু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এমরাজিনা ইসলাম, এইচএম ওসমান শাকিল, গোলাম কামরুজ্জামান, আতিকুর রহমান, সুমন সাহা, মিনহাজুল আসিফ, রাসেল খন্দকার, সাজিদ ইসলাম প্রান্তসহ দেড় শতাধিক আইটি ও ফ্রিল্যান্স পেশাজীবী।