দক্ষিণী সিনেমা অঙ্গনের লেডি সুপারস্টার বলা হয় নয়নতারাকে। তবে এতে আপত্তি অভিনেত্রীর। তিনি ভক্তদের তার প্রকৃত নাম অর্থাৎ নয়নতারা নামেই ডাকতে অনুরোধ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘নয়নতারা’ নামটি তার খুবই প্রিয়। ভক্তরা যেন তাকে নাম ধরে ডাকেন।

মঙ্গলবার এই অভিনেত্রী টুইটারে একটি লেখা শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট উপাধি এবং প্রশংসা খুবই মূল্যবান। কিন্তু কখনও কখনও এগুলো এমন একটি ভাবমূর্তি তৈরি করে যা একজন অভিনেতাকে তাদের কাজ থেকে আলাদা করে দেয়। সেইসাথে তার দর্শকদের সঙ্গেও নিঃশর্ত বন্ধন হতে দেয় না। শুধু এই কারণেই ভক্তদের থেকে একজন অভিনেতার দূরত্ব তৈরি হয়।

নয়নতারা লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় ভক্ত, মিডিয়ার সম্মানিত সদস্য এবং সিনেমা জগতের সম্মানিত ব্যাক্তিগণ, অভিনেত্রী হিসেবে আমার শুরু, সকল আনন্দ এবং সাফল্যের সমস্ত উৎস আপনারা। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, সবাই পরিবার নিয়ে সুস্থ আছেন, সুখে আছেন। আমার জীবন একটা খোলা বইয়ের মতো, যা সবসময় আপনাদের নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং স্নেহে গড়ে উঠেছে। সাফল্যের সময় আমার কাঁধ চাপড়ে দেওয়া বা কষ্টের সময় আমাকে শক্তি দিয়ে হাত বাড়িয়ে দেওয়া হোক, আপনারা সবসময় আমার পাশে ছিলেন।’

তিনি আরও লেখেন, “আপনাদের অনেকেই আমাকে ‘লেডি সুপারস্টার’ বলে ডাকেন। যা আপনাদের অপরিসীম স্নেহ থেকে উদ্ভূত। এত মূল্যবান উপাধির মুকুট পরানোর জন্য আমি সকলের কাছে অনেক ঋণী। তবে, আমি সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, আমাকে ‘নয়নতারা’ বলে সম্বোধন করবেন। কারণ আমি মনে করি, এই নামটিই আমার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের। এটি কেবল একজন অভিনেতা হিসেবেই নয়, একজন ব্যক্তি হিসেবেও আমি কে, তা প্রতিনিধিত্ব করে।”

তিনি এরপর লিখেছেন, ‘উপাধি বা প্রশংসা অমূল্য, কিন্তু কখনও কখনও তা এমন একটি ভাবমূর্তি তৈরি করে যা আমাদের কাজ, আমাদের শিল্প এবং দর্শকদের সাথে অভিনেতাদের নিঃশর্ত বন্ধন তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমি বিশ্বাস করি,  আমরা সকলেই ভালোবাসার ভাষা ভাগ করে নিই যা আমাদের সকল সীমা ছাড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত রাখে। যদিও ভবিষ্যৎ আমাদের সকলের অজানা, কিন্তু আমি খুবই খুশি যে, আপনাদের অবিরাম সমর্থন অব্যাহত থাকবে।  আপনাদের বিনোদনের জন্য আমার কঠোর পরিশ্রমও অব্যাহত থাকবে। সিনেমাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখে। আসুন আমরা একসাথে এটি উদযাপন করি। ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে, নয়নতারা।’

নয়নতারাকে তার আসন্ন সিনেমা ‘টেস্ট’-এ দেখা যাবে। এটি নেটফ্লিক্সে প্রচারিত হবে। ছবিটির আনুষ্ঠানিক মুক্তির তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তার আরও কয়েকটি আসন্ন সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘মান্নাঙ্গত্তি সিন্স ১৯৬০’, ‘ডিয়ার স্টুডেন্টস’, ‘টক্সিক: আ ফেয়ারি টেল ফর গ্রোন-আপস’, ‘রাক্কাইর’, ‘মামুটি’ এবং ‘এমএমএমএন’। 

এছাড়াও, পরিচালক বিষ্ণু এদাভানের সঙ্গে তার একটি নাম ঠিক না হওয়া সিনেমাও মুক্তির তালিকায় আছে। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নয়নত র আপন দ র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। শনিবার (১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ঘোষিত চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, বুধবারের নির্বাচনে তিনি ৯৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। খবর বিবিসির। 

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে স্বচ্ছতার অভাব এবং ব্যাপক অস্থিরতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন ঘিরে দেশটিতে গত কয়েক দিনে সহিংসতায় কয়েক শ’ মানুষ নিহত ও বহু আহত হয়েছে। দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নিহতের সঠিক সংখ্যা যাচাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরকার সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অস্থিরতা দমনে দেশজুড়ে কারফিউও বাড়ানো হয়েছে।

ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) দলের প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভোটের আগে ভিন্নমত পোষণকারী ও বিরোধীদের ওপর কঠোর দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। প্রধান দুই বিরোধী দলকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।

ফলে নির্বাচনের পরই বৃহত্তম নগরী দার-এস-সালাম ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবারও বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। অস্থিরতা বন্ধ করার জন্য সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা সামিয়ার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং অসংখ্য গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন এবং থানায় আগুন দেয়। 

বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশিরভাগ তরুণ বিক্ষোভকারীরা, যারা নির্বাচনকে অন্যায্য বলে সমালোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার প্রধান বিরোধী নেতাদের দমন করে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করছে। প্রধান দুই বিরোধী নেতার মধ্যে একজন কারাগারে রয়েছেন এবং অন্যজনকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিরোধী চাদেমা দলের একজন মুখপাত্র শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তানজানিয়ার একটি কূটনৈতিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫০০ জন মারা যাওয়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কম্বো থাবিত এই সহিংসতাকে ‘এখানে-সেখানে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা বাহিনী খুব দ্রুত ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করেছে।”

প্রধান দুই বিরোধী দলীয় নেতার মধ্যে চাদেমা দলের টুন্ডু লিসুকে নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রদোহের অভিযোগ আটক করা হয়, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এসিটি-ওয়াজালেনডো দলের নেতা লুহাগা এমপিনাকে আইনি কৌশল খাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

১৬টি প্রান্তিক দল, যাদের কারোরই ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন ছিল না, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

সামিয়ার ক্ষমতাসীন দল সিসিএম, দেশটির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে কখনও কোনো নির্বাচনে সিসিএম হারেনি।

নির্বাচনের আগে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিরোধী ব্যক্তিত্বদের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের নিন্দা জানিয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর ২০২১ সালে তানজানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামিয়া ক্ষমতায় আসেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারা বেশি কাঁদেন? 
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • বর্তমান সংকটের জন্য সরকার দায়ী, দলগুলোর চাপে সিদ্ধান্ত বদল
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টে সোনালী মিতুয়ার বাজিমাত