রাবির ভর্তি পরীক্ষা: বিকেন্দ্রীকরণে হ-য-ব-র-ল
Published: 5th, March 2025 GMT
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। তবে পরীক্ষার আসন-বিন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর এই ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তারা যেই কেন্দ্র পছন্দ তালিকায় উপরে রেখেছিলেন, সেই কেন্দ্র বাদ দিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রে তাদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাদের ভোগান্তি বেড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আসন বিন্যাস বাতিল করে নতুন করে আসন বিন্যাস প্রকাশের দাবি করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তার সিট পড়েছে। ভর্তি পরীক্ষা পুরো একটা প্রসেসের মাধ্যমে হয়। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সেক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। তবে এই সিটপ্ল্যান আর পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল চারটা থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। প্রবেশপত্র ডাউনলোডের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র’ নামক একটি গ্রুপে অভিযোগ করে পোস্ট করতে থাকেন ভর্তিচ্ছুরা। পোস্টে শিক্ষার্থীরা লিখেন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট প্ল্যান বাতিল চাই, শিক্ষার্থীদের সুবিধা অনুযায়ী নতুন করে সিট প্ল্যান দিতে হবে।’
জিকরা নিহা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাসা ঝিনাইদহ। একজন মেয়ে হয়ে আমার পক্ষে ঝিনাইদহ থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এতগুলো টাকা দিয়ে আবেদন করার পর আবার ওতদূর অনেকগুলো টাকা দিয়ে জার্নি করাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি বেশি দূরে জার্নি করতে পারি না, অসুস্থবোধ করি। এছাড়া এতো টাইম জার্নি করার পর পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দেওয়াটা কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য অনেক হয়রানি। তাই সবদিক বিবেচনা করে আমাদের প্রত্যেকটা স্টুডেন্টদের মতামত অনুযায়ী পছন্দের বিভাগে সিট দেওয়া উচিত।
রওনক জাহান রোজি নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমার বাড়ি বগুড়া হলেও পরীক্ষার সিট পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান রাজশাহীতে যেতে ৩ ঘণ্টা লাগে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বেশি দূরে হয়ে যায় এবং থাকার জায়গা নিয়েও চিন্তায় পড়ে গেছি। অঞ্চলভেদে সিটপ্ল্যান করা উচিৎ ছিল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিটপ্ল্যান নতুন করে প্রণয়ন করা উচিৎ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড.
এই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন বা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা পুরো একটা প্রসেসের মাধ্যমে হয়। সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে হলে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সেক্ষেত্রে হয়তো পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করতে হতে পারে। এদিকে শীঘ্রই ক্যাম্পাস ছুটি হয়ে যাবে তাই সময়ও কম। তবে এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক কমিটিই সিদ্ধান্ত নিবে।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট সংখ্যা কম থাকায় শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তিটা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র পছন্দের তালিকা অনুযায়ী কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী কেন্দ্রে তার সিট পড়েছে। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ। এই সিটপ্ল্যান আর পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র আম দ র পছন দ ন করত প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।