দেশের সড়ক খাত দেখভালের দায়িত্ব পেলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শেখ মইনউদ্দীন। তাঁকে বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় এ দায়িত্ব পেলেন।

বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশে সড়ক, সেতু ও এ খাতের অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। তবে অভিযোগ হলো, এ খাতের প্রকল্পগুলোর ব্যয় অত্যধিক। বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ হয়েছে। বিপুল বিনিয়োগের পরও সড়ক অবকাঠামোর পূর্ণ সুফল পাচ্ছে না দেশবাসী।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রায় ২৫ বছর ধরে একই ধরনের কাজই করে আসছেন শেখ মইনউদ্দীন। তাঁর জন্ম বাংলাদেশের খুলনায়। উচ্চমাধ্যমিক পড়ার পরই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। শিগগিরই বাংলাদেশে এসে দায়িত্ব নেবেন।

সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মূলত শেখ মইনউদ্দীনকে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে অত্যধিক ব্যয়ের বিষয়টিতে রাশ টানা, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা এবং রাজধানী ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট কমিয়ে আনার জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রায় ২৫ বছর ধরে একই ধরনের কাজই করে আসছেন শেখ মইনউদ্দীন। তাঁর জন্ম বাংলাদেশের খুলনায়। উচ্চমাধ্যমিক পড়ার পরই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। শিগগিরই বাংলাদেশে এসে দায়িত্ব নেবেন।

আরও পড়ুনমেট্রোরেলের শীর্ষ পদে আমলাদের বাইরে নিয়োগ, অস্ট্রেলিয়া ও হংকংয়ে কাজ করা কে এই ব্যক্তি১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিদ্যুৎ, জ্বালানি, রেল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয় সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সরকারের কাজে বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা থেকে মইনউদ্দীনকে বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্র জানিয়েছে। আর এটি ফাওজুল কবির খানের ইচ্ছায়ই হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরকারি সূত্র বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর অত্যধিক ব্যয় নিয়ে নানা সমালোচনা আছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার অত্যধিক ব্যয়ের কারণ অনুসন্ধান, এ থেকে বের হওয়া এবং টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে চায়। এ জন্য বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং গণপরিবহন খাতে দায়িত্ব বিশেষজ্ঞদের দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

সরকারের কাছে জমা দেওয়া জীবনবৃত্তান্ত অনুযায়ী, শেখ মইনউদ্দীন ২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের পরিবহন বিভাগের নিরাপত্তা ও পরিচালন বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি প্রায় সাত বছর ওই অঙ্গরাজ্যের পরিবহন বিভাগের কর্মসূচি ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগের ব্যবস্থাপক ছিলেন। ২০০৫ সাল থেকে এক দশকের বেশি তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিভাগের প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কোন প্রকল্প একান্ত প্রয়োজনীয়, কোনটি দরকারি এবং কোনটি দরকারি নয়, এটা চিহ্নিত করা হবে।শেখ মইনউদ্দিন

শেখ মইনউদ্দীন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পুরকৌশলে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অবকাঠামো ও পরিবেশ বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞ। ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পুরকৌশল বিষয়ে মাস্টার্স এবং ইউনিভার্সিটি অব লুইজিয়ানা থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন শেখ মইনউদ্দীন। তাঁর শিক্ষাজীবনের মূল বিষয় ছিল পুরকৌশল, পরিবহন ও পরিবেশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৌশলীদের নানা পেশাগত সংঘের সঙ্গে তাঁর যুক্ততা রয়েছে।

সরকারি সূত্র বলছে, কর্মজীবনে শেখ মইনউদ্দীন সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে শত শত কোটি ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্ত ছিলেন। তিনি গণপরিবহন ব্যবস্থাপনায়ও উদ্ভাবনী ভূমিকা রেখেছেন। এর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ‘ডায়নামিক লেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করতে নেতৃত্ব দেন তিনি, যা মহাসড়কের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মহাসড়কের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সদ্ব্যবহার বিষয়েও তাঁর গবেষণা রয়েছে।

২০২৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ সালে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিক গেমস চলার সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় যানবাহন ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়নের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন শেখ মইনউদ্দীন।

ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পুরকৌশল বিষয়ে মাস্টার্স এবং ইউনিভার্সিটি অব লুইজিয়ানা থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন শেখ মইনউদ্দীন। তাঁর শিক্ষাজীবনের মূল বিষয় ছিল পুরকৌশল, পরিবহন ও পরিবেশ।সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কাজ

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগ রয়েছে। একটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, অন্যটি সেতু বিভাগ। দেশে চার লেন সড়ক, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুসহ বড় বড় স্থাপনা এই দুটি বিভাগের অধীন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন রয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এটি দেশের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-সেতু নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। সওজের অধীন জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-রংপুর চার লেন মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলেট-তামাবিল চার লেন মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প চলছে। বেশ কিছু মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প আসছে।

এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে প্রতি কিলোমিটারে খরচ ১১৫ কোটি টাকা। পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেন করতে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তো বটেই, এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশে মহাসড়ক নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি। নির্মাণ ব্যয় কমানোই শেখ মইনউদ্দীনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেল নির্মিত হচ্ছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক যানজট নিরসন, শৃঙ্খলা ফেরানো এবং সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর দায়িত্বও এই মন্ত্রণালয়ের। শেখ মইনউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রে অর্জন করা অভিজ্ঞতা কতটা দেশে কাজে লাগাতে পারবেন, তা-ই এখন দেখার বিষয়।

সেতু বিভাগের অধীন পদ্মা, যমুনাসহ দেশের বড় বড় সেতু রয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল দেশের ওপর বোঝা হয়ে দেখা দিল কি না, সে আলোচনা আছে। কারণ, টানেল নির্মাণে যে পরিমাণ ব্যয় হয়েছে, আয় সে তুলনায় খুবই সামান্য। সেতু বিভাগের অধীন ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালসড়ক এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলমান। আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেতু ও উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিকল্পনায় আছে। এসব প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়ন, ব্যয় কমানো এবং অবকাঠামোগুলো দেশের মানুষ যাতে সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে পারে, সেটাই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ কাজে শেখ মইনউদ্দীনের অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লাগানো যায়, সেটাই দেখার বিষয়।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তো বটেই, এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশে মহাসড়ক নির্মাণের ব্যয় অনেক বেশি। নির্মাণ ব্যয় কমানোই শেখ মইনউদ্দীনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।

শেখ মইনউদ্দীন অবশ্য আশার কথাই শুনিয়েছেন। তিনি বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিশ্বাস, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আছে। এর সর্বোচ্চটা বের করে আনাই তাঁর লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ও গণপরিবহন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর অভিজ্ঞতা আছে। দেশে থাকাদের মধ্যে বিদেশের প্রযুক্তি ও জ্ঞান যুক্ত করে বাড়তি কিছু করার চেষ্টা থাকবে তাঁর।

বাংলাদেশে প্রকল্পের অত্যধিক ব্যয় সম্পর্কে শেখ মইনউদ্দিন বলেন, কোন প্রকল্প একান্ত প্রয়োজনীয়, কোনটি দরকারি এবং কোনটি দরকারি নয়, এটা চিহ্নিত করা হবে। এরপর যৌক্তিক ব্যয়ে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট ক পর বহন ও প রকল প ব পর বহন ব ব যবস থ অবক ঠ ম সরক র র র পর ব ন ত কর মন ত র সড়ক ও দরক র সড়ক প সড়ক ন ন সড়ক

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ