ম্যাক্স বিউ নিয়ে এলো নতুন ১০টি লিপস্টিক শেড
Published: 6th, March 2025 GMT
জনপ্রিয় কালার কসমেটিকস ব্র্যান্ড ম্যাক্স বিউ বাজারে নিয়ে এসেছে নতুন ১০টি নজরকাড়া লিপস্টিক শেড। শুরুতেই ৫টি নান্দনিক শেড নিয়ে দেশের বাজারে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার পাওয়ার পর, ভোক্তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন ১০টি শেড নিয়ে এলো ব্র্যান্ডটি।
নতুন পুরোনো মিলিয়ে মোট ১৫টি বৈচিত্র্যপূর্ণ শেড দিয়ে সাজানো ম্যাক্স বিউ লিপস্টিক রেঞ্জ সৌন্দর্য পিপাসুদের মাঝে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করবে এমনটাই মনে করছেন সবাই।
ম্যাক্স বিউ সিল্ক ফিনিশ লিপস্টিক মানেই লং লাস্টিং স্মুথ টেক্সচার ও ময়েশ্চারাইজিং প্রপার্টিজে দিনভর নজরকাড়া ঠোঁটের গ্ল্যামার। এর স্মথ টেক্সচার প্রথম অ্যাপ্লিকেশনেই মসৃণভাবে ঠোঁটে বসে যায় আর সারাদিন থাকে কমফরটেবল।
ময়েশ্চারাইজিং প্রোপার্টি আর্দ্রতা বজায় রেখে ঠোঁটকে শুকিয়ে যেতে দেয় না যার ফলে দিনভর লিপস্টিক যেমন থাকে নিখুঁত তার পাশাপাশি ঠোঁটও থাকে কোমল। আর এর বিল্ডেবল ফর্মুলা অ্যাপ্লিকেশন অনুযায়ী লিপস্টিকের রঙে এনে দেয় ভিন্ন মাত্রা যাতে করে ইচ্ছেমতো হালকা বা গাঢ় রঙের মেকআপ করা যায় খুব সহজেই।
রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের কালার কসমেটিকসের ক্যাটেগরি হেড, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর হাসান ফারুক বলেন, “রূপসজ্জায় পূর্ণতার স্লোগান নিয়ে অল্প দিনেই দেশজুড়ে ভোক্তাদের কাছে অভাবনীয় গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে ম্যাক্স বিউ। তাই ভোক্তাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে এবার আমরা নিয়ে এসেছি তাদের পছন্দের এই ব্র্যান্ডটির নতুন আরো ১০টি আকর্ষণীয় শেড। আমাদের বিশ্বমানের ফ্যাক্টরিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ম্যাক্স বিউ সিল্ক ফিনিশ লিপস্টিক খুব দ্রুত দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ক্রেতাদের মন জয় করে নিবে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী।”
হালকা কিংবা গাঢ়, প্রেফারেন্স যেমনই হোক না কেন, সব ধরনের মেকআপ লাভারদের জন্যই কিছু না কিছু রয়েছে এই ১৫টি শেডের দুর্দান্ত কালেকশনে যা পাওয়া যাচ্ছে হারল্যান স্টোর আউটলেট, হারল্যান ডটকম ওয়েবসাইট, ও স্বনামধন্য সব সুপারস্টোরগুলোতে। মভ, ম্যাজেন্টা ও চকলেট ব্রাউনের মত জনপ্রিয় সব শেড এর পাশাপাশি রয়েছে ব্রিক রেড, ল্যাভেন্ডার ও বেরির মত ইউনিক শেড। তাই জমকালো পার্টি, অফিসের ফর্মাল লুক, অথবা ক্যাজুয়াল কোন আড্ডার আসর, অকেশন যাই হোক না কেন ম্যাক্স বিউ সিল্ক ফিনিশ লিপস্টিকের ১৫টি দৃষ্টিনন্দন শেড থেকে সহজেই বেছে নেওয়া যাবে মানানসই শেডটি।
নতুন এই কালেকশনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভর প্রসাধনী পণ্যের পরিবর্তে অথেনটিক ও আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি পণ্য দেশের মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো ম্যাক্স বিউ।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন: জামায়াতে ইসলামী
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাভাবিক বললেও, দুইজনের যৌথ বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকের পর বিবৃতিতে দলটি বলেছে, ‘যৌথ বিবৃতি প্রদান বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয় বলে আমরা মনে করি। এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, যা তার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছে।’
দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ‘১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাকে জামায়াত খুবই স্বাভাবিক মনে করে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে এবং যৌথভাবে বৈঠক করেছেন।’
লন্ডন বৈঠকের যৌথ বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে জামায়াত বলেছে, ‘গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তার এই ঘোষণার পর লন্ডন সফরে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদেশে যৌথ প্রেস ব্রিফিং এবং বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয় বলে জামায়াত মনে করে। এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, যা তার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করে।’
লন্ডন বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। জামায়াত এ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা মনে করি দেশে ফিরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার অভিমত প্রকাশ করাই সমীচীন ছিল।’
জামায়াত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিরোধী নয় বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৬ এপ্রিল জামায়াত আমির দলীয় দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরে জানিয়েছিলেন ২০২৬ সালের রসজানের পূর্বে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হতে পারে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জামায়াত মনে করে সরকার প্রধান হিসেবে কোনো একটি দলের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে কিছুতেই যথার্থ নয়। প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেওয়ায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল সক্রিয়ভাবে বিদ্যমান, সেখানে শুধু একটি দলের সঙ্গে আলাপে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সঠিক বলে বিবেচিত হতে পারে না। জামায়াত আশা করে, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার নিরপেক্ষ থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে এবং বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে। সরকারের নিরপেক্ষতা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে তা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা জাতির সামনে স্পষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের দিন জামায়াত আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না জানালেও দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা সমকালকে বলেছিলেন, ‘জামায়াতই প্রথম বলেছে, রমজানের আগে নির্বাচন হওয়া উচিত। তাই নির্বাচনের যে নতুন সময়সীমা বলা হচ্ছে, এ নিয়ে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু সরকার যেভাবে শুধু বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে, তা অগ্রহণযোগ্য।’
জামায়াত নেতারা শুক্রবার রাতেই সমকালকে বলেছিলেন, যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে– সরকার এবং বিএনপি সমশক্তি। এর পর আর সরকারের নিরপেক্ষতা থাকে না। এ বক্তব্য ড. ইউনূসকে জানাবে জামায়াত।