রান-সেঞ্চুরিতে আরও অনেকেই এগিয়ে থাকতে পারেন, তবে ভিভ রিচার্ডসের মহিমার কতটুকুই বা বোঝা যায় ওসব সংখ্যায়! পুঁচকে অ্যান্টিগা থেকে উঠে এসে বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্ব করা ভিভ রিচার্ডস কোথায় বাকিদের সঙ্গে আলাদা হয়ে যান? এই লেখায় এর উত্তর খুঁজতে চেয়েছেন উৎপল শুভ্র। যেটিকে বলতে পারেন জন্মদিনে রিচার্ডসকে দেওয়া নৈবেদ্য।

ভিভ রিচার্ডস কেন ভিভ রিচার্ডস?

শুধুই কি স্ট্রোক প্লের জন্য? তা ক্রিকেট ইতিহাস যুগে যুগে স্ট্রোক প্লেয়ার তো কম দেখেনি। ভিভ রিচার্ডসের ব্যাটিংয়ে স্ট্রোক প্লের ঔদ্ধত্য প্রথমেই নজর কাড়ত সত্যি, কিন্তু শুধু স্ট্রোক প্লের কারণেই ভিভ রিচার্ডস ভিভ রিচার্ডস হননি। তাহলে কিসের জন্য হয়েছেন? ইংল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান গ্রাহাম থর্পকে আমি রান-টানের জন্য মনে রাখিনি। মনে রেখেছি ভিভ রিচার্ডস সম্পর্কে আসল কথাটা বলার জন্য, ‘একটি বলও খেলার আগেই প্রতিপক্ষের শিরদাঁড়ায় ভয়ের স্রোত বইয়ে দেওয়ার মতো প্রতিভা, কারিশমা ও সামর্থ্য ছিল তাঁর।’

মনে রাখতে বলি, কথাটা কোনো ফাস্ট বোলারকে নিয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে একজন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে! সত্তর ও আশির দশক এত বড় বড় সব ব্যাটসম্যানকে দেখেছে, যাঁদের পুরোভাগেই সুনীল গাভাস্কার। সেই গাভাস্কার যখন বলেন, ‘ও বোলারদের মানসিকভাবে ধ্বংস করে দিত.

..সে-ই আমার প্রজন্মের সেরা ব্যাটসম্যান, সেটাও অনেকটা ব্যবধানে’—কার কথা বলছেন, বুঝতে সমস্যা হয় না।

রান-সেঞ্চুরি সে তো অনেক ব্যাটসম্যানই করে। কিন্তু ‘শিরদাঁড়ায় ভয়ের স্রোত', 'বোলারদের মানসিকভাবে ধ্বংস করে দেওয়া’ এসব কথা কজন ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে! জেফরি ডুজনের কথাটা এখনো কানে বাজে, ‘সব সময়ই দেখেছি, নতুন ব্যাটসম্যান এলে ফিল্ডাররা দুই পা এগিয়ে আসে। একমাত্র ভিভ নামলেই সবাই দুই পা পিছিয়ে যেত।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেরুন রঙের টুপিটা গর্ব নিয়ে পরতেন ভিভ রিচার্ডস

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনার পরিবারের ৭ সদস্যের বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগের পৃথক ছয়টি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম ও সুলতান মাহমুদ।

আগামী ১১ ও ১৩ আগস্ট মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের ঠিক করা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যরা হলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি)।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগের পৃথক ছয়টি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের পক্ষে আদালতে যুক্তি তুলে ধরা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ২০ জুলাই পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি এই আদালতে বদলি হয়।

দুদকের পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগের ছয়টি মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে মামলাগুলো বিচারের জন্য অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক তিন মামলায় গত এপ্রিলে শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। তিনটি মামলায় তাঁদের ছাড়াও সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদসহ ১৬ জন অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।

২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নামে বরাদ্দ নেওয়া প্লটের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করে দুদক।

পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ছয়টি মামলায় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গত ১০ মার্চ অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেয় দুদক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ