আশুলিয়া থানায় অসদাচরণ করা যুবক চাঁদপুর থেকে গ্রেপ্তার
Published: 7th, March 2025 GMT
ঢাকার আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে ঢুকে বিএনপির পার্টি অফিসের পিয়ন পরিচয় দিয়ে অসদাচরণ করা যুবক সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের চান্দল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারাও সোচ্চার হন। আশুলিয়া থানার ওসিকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
গ্রেপ্তার সুমন মিয়া চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের চান্দল গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এ সংক্রান্ত ভিডিওটিতে দেখা যায়, মঙ্গলবার আশুলিয়া থানার ওসির কক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকেরা সুমনের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে বিএনপির পার্টি অফিসের পিয়ন পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘ওসি সাহেবের সঙ্গে পরিচিত হতে এসেছি’।
ওসিকে বিব্রত করার কারণ জানতে চাইলে সুমন বলেন, ‘দপ্তর স্যার বলছে ওসি নাকি ছাত্রলীগের, ছাত্রলীগের ওসি তাই আমাকে স্যার বলছে, তাই আসছি তার সাথে পরিচিত হতে’।
সেখানে উপস্থিত এক ব্যক্তি সুমনের দিকে তেড়ে যান। এবং কে এসব শিখিয়ে দিয়েছে বলে সুমনের কাছে জানতে চান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিকদের প্রশ্নের এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে থানা থেকে সটকে পড়েন সুমন মিয়া।
ওই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর আশুলিয়া থানার ওসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ফেসবুকে বিএনপির ভেরিফাইড পেইজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আশুলিয়া থানায় ঢুকে থানার ওসির সাথে বিএনপি অফিসের পিয়ন পরিচয় দিয়ে অসদাচরণ করা সুমনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে আশুলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলুকে ফোন করেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ দুপুরের আশুলিয়া থানার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে রুহুল কবির রিজভী’র নজরে আসে বিষয়টি। তাৎক্ষণিক তিনি বিএনপি’র দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সুমন নামের ব্যক্তিটি ভুয়া পরিচয়ে থানায় গিয়ে বিএনপি’র নাম নিয়ে এমন অপকর্ম করেছেন। সাথে সাথে রিজভী আশুলিয়া থানার ওসিকে ফোন করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং ভুয়া পরিচয়ে পুলিশ কর্মকর্তার সাথে অসদাচরণ করার জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।’
এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার চিতোষী নামক স্থান থেকে সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তারে পর জিজ্ঞাসাবাদে সুমন মিয়া আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে পতিত সরকারের সময় শ্রমিক নেতা হিসেবে কাজ করতেন বলে জানান। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের পিয়ন পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে থাকেন এবং অনৈতিক সুবিধা আদায়সহ গার্মেন্টস এলাকার অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির জন্য একটি মহলের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সুমন মূলত গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আশুলিয়া থানার ওসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের পক্ষে অসৎ উদ্দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন। আশুলিয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা/সাব্বির/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর অফ স র প স মন ম য় ব এনপ র ব যবস থ স মন র
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫