স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল
Published: 7th, March 2025 GMT
সারাদেশে অব্যাহত হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) ঢাকার পল্টনে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করে এ দাবি জানায় তারা। সমাবেশ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলছেন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। অথচ আমরা দেখছি একের পর এক হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি আর মব জাস্টিসের ঘটনা। নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংগঠন আজ বায়তুল মোকাররমের সামনে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে মিছিল করেছে। মেট্রোরেলে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নিপীড়িত নারীর পরিচয় সামনে এনে তাকে আবারও হেনস্তা করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিতে একদল অপরাধী থানা ঘেরাওয়ের দুঃসাহস দেখিয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। এসব অপরাধীকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
যুব ইউনিয়ন সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, “আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। আমার মেয়ের বয়সী একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রাস্তাঘাটে, ক্যাম্পাসে নারীর জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠছে। যেখানে সেখানে মব জাস্টিসের নামে সংঘটিত হচ্ছে অপরাধ।”
সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা অন্ধ না হয়ে গেলে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। একটা স্বৈরাচারের বিদায়ের পর আপনারা দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনাদের কাছে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা তা পূরণ করুন। বিগত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বামপন্থীরা যেমন সোচ্চার ছিল, বর্তমান অনাচারের বিরুদ্ধেও তারা রাস্তায় নেমেছে। ভবিষ্যতেও জনগণের দাবির পক্ষে আমরা রাজপথে থাকব।”
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতিসহ সব ধরনের অপরাধে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
এর আগে ছাত্র ইউনিয়ন ও যুব ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা একটি মশাল মিছিল নিয়ে পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সমাবেশস্থলে জড়ো হন।
ঢাকা/হাসান/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপদ ষ ট ইউন য ন অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন ১৮ কোটি মানুষের দাবি: জামায়াত
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এই সনদ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কার্যকর করতে হবে, আর প্রয়োজনে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। তবে তা অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হতে হবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনায় জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদও উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
৩ দাবিতে জাস্টিস ফর জুলাইয়ের সংবাদ সম্মেলন
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে। ১৯৯০ সালের গণ-আন্দোলনের পর দলগুলোর ঐকমত্য থাকা সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সময়মতো বাস্তবায়ন হয়নি। পরে আন্দোলনের মাধ্যমে তা সংবিধানে যুক্ত হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়েছে বিচারপতি খায়রুল হকের প্রভাবিত রায়ের মাধ্যমে। জামায়াত মনে করে, বিচার বিভাগকে বিতর্কের মুখে না ফেলে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।
হামিদুর রহমান আযাদ জানান, ঐকমত্য কমিশনের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি চারটি বিকল্প প্রস্তাব করেছে, যার মধ্যে সংবিধানিক আদেশের প্রস্তাবটিই সবচেয়ে শক্তিশালী। এই আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের ২২টি আর্টিকেল বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মত দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের ক্ষমতা সংসদের নেই। এ জন্য গণভোট প্রয়োজন। জনগণের ইচ্ছাই দেশের সর্বোচ্চ আইন।
ডাকসু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণকে উদাহরণ হিসেবে টেনে তিনি বলেন, তরুণ সমাজ এখন নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার পক্ষে এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গেই তারা একাত্ম।
ঢাকা/এএএম/ফিরোজ