তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় চলতি বছরের শুরুতেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে নতুন অধিনায়ক খুঁজছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সম্ভাব্য নেতৃত্বের তালিকায় সবচেয়ে জোরালোভাবে উঠে এসেছে ওপেনার লিটন দাসের নাম।

টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে রাজি শান্ত। তবে টি-টোয়েন্টির জন্য দীর্ঘমেয়াদে একজন অধিনায়ক খুঁজছে বিসিবি। এ বিষয়ে আজ (শনিবার) মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেব। ইতিমধ্যে দু-একজন টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা এখনও দলে রয়েছে। তাদের মধ্য থেকেই কাউকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার চেষ্টা করব।’

বিসিবি সভাপতির বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, লিটন দাসই হতে পারেন নতুন অধিনায়ক। সাকিব আল হাসান দায়িত্ব ছাড়ার পর টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে এসেছিলেন শান্ত। তবে তার অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলকে দারুণভাবে সামলেছেন লিটন। তার নেতৃত্বগুণের প্রশংসাও হয়েছিল। ফলে বিসিবির নতুন পরিকল্পনায় তার নামই সবার আগে আসছে।

বিসিবি সভাপতির কাছে প্রশ্ন ছিল দলকে নতুন করে সাজানো নিয়ে। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে দিয়ে বিদায় বলেছেন রঙিন পোশাকের ক্রিকেটকে। আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর অবসর প্রসঙ্গও ঘুরেফিরে আসছে। নতুন করে কি এখন সাজানো হবে দল? ফারুক বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে, ভালো কিছু করার। ক্রিকেটারদের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে, যা অনুসারে তারা কাজ করবে। আমি যখন ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে নির্বাচক ছিলাম, তামিম–সাকিব–মুশফিক ওরা লাইমলাইটে এসেছিল। বোর্ড থেকে একটা পলিসি দেওয়া হবে। আমরা বলে দেব কী চাই। ক্রিকেট অপারেশন্সের সঙ্গে আলাপ করে চিন্তা করব আমাদের ক্রিকেটটাকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল টন দ স

এছাড়াও পড়ুন:

রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে ‘আওয়ামী লীগের আমলে চাকরি পেয়েছে’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ মারধরের ভিডিও ধারণের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তিনজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

ভুক্তভোগী মো. গোলাম আজম ফয়সাল চিকিৎসা কেন্দ্রেই ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে কর্মরত। হামলার পর গুরুতর আহতাবস্থায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।

আরো পড়ুন:

তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন

রাবি ছাত্রদলের কমিটি: সভাপতি-সম্পাদকসহ অধিকাংশেরই ছাত্রত্ব নেই

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা কেন্দ্রের ২৩ নম্বর কক্ষে ফয়সাল ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন। প্রথমে একজন বহিরাগত এসে ফয়সালের পরিচয় নিশ্চিত করে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ৭-৮ জন কক্ষে প্রবেশ করে ফয়সালকে ‘আওয়ামী লীগের আমলে চাকরি পেয়েছে’ অ্যাখ্যা দিয়ে এবং কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই মারধর শুরু করে।

এক পর্যায়ে তারা ফয়সালকে টেনেহিঁচড়ে চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে আসে এবং এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। মারধর শেষে যাওয়ার সময় যারা হামলার দৃশ্য ভিডিও করার চেষ্টা করলে তারা তিনজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী গোলাম আযম ফয়সাল বলেন, “হামলাকারীদের মধ্যে একজন আরেকজনকে ‘জনি, আর মারিস না’ বলে থামায়। চলে যাওয়ার সময় তারা আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকিও দিয়ে যায়।”

নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই একটি ভাড়া বাসায় থাকি। খুব আতঙ্কে দিন পার করছি।” হামলাকারীদের কাউকে চেনেন না বলে মামলার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মীদের মধ্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি। তিনি বলেন, “ফয়সাল আগে আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিংয়ে যেত বলে আমরা শুনেছি। এ ঘটনায় আমরা সবাই আতঙ্কিত। কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করলে আমাদের পক্ষে দায়িত্ব পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তাকে বহিরাগতরা অত্যন্ত নির্মম ও অমানবিকভাবে প্রহার করেছে। আমরা জনি নামে একজনের কথা শুনেছি, যার নেতৃত্বে এই হামলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা পুলিশের সহায়তায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “আমি মাত্র বিষয়টি জানতে পারছি। এ বিষয়ে প্রক্টর স্যারের সঙ্গে কথা বলব। এছাড়া ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে গতকাল পুলিশর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মিটিং হয়েছে। তারা নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে কাজ করছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে উড়োজাহাজে সহযাত্রীর থাপ্পড়ের পর খোঁজও মিলছে না যাত্রীর: পরিবারের দাবি
  • প্রলোভনের এই যুগে নিজেকে রক্ষার উপায়
  • নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?
  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর