টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে নেই শান্ত, নতুন অধিনায়ক কে?
Published: 8th, March 2025 GMT
তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় চলতি বছরের শুরুতেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে নতুন অধিনায়ক খুঁজছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সম্ভাব্য নেতৃত্বের তালিকায় সবচেয়ে জোরালোভাবে উঠে এসেছে ওপেনার লিটন দাসের নাম।
টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে রাজি শান্ত। তবে টি-টোয়েন্টির জন্য দীর্ঘমেয়াদে একজন অধিনায়ক খুঁজছে বিসিবি। এ বিষয়ে আজ (শনিবার) মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেব। ইতিমধ্যে দু-একজন টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা এখনও দলে রয়েছে। তাদের মধ্য থেকেই কাউকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার চেষ্টা করব।’
বিসিবি সভাপতির বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, লিটন দাসই হতে পারেন নতুন অধিনায়ক। সাকিব আল হাসান দায়িত্ব ছাড়ার পর টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে এসেছিলেন শান্ত। তবে তার অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলকে দারুণভাবে সামলেছেন লিটন। তার নেতৃত্বগুণের প্রশংসাও হয়েছিল। ফলে বিসিবির নতুন পরিকল্পনায় তার নামই সবার আগে আসছে।
বিসিবি সভাপতির কাছে প্রশ্ন ছিল দলকে নতুন করে সাজানো নিয়ে। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে দিয়ে বিদায় বলেছেন রঙিন পোশাকের ক্রিকেটকে। আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর অবসর প্রসঙ্গও ঘুরেফিরে আসছে। নতুন করে কি এখন সাজানো হবে দল? ফারুক বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে, ভালো কিছু করার। ক্রিকেটারদের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে, যা অনুসারে তারা কাজ করবে। আমি যখন ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে নির্বাচক ছিলাম, তামিম–সাকিব–মুশফিক ওরা লাইমলাইটে এসেছিল। বোর্ড থেকে একটা পলিসি দেওয়া হবে। আমরা বলে দেব কী চাই। ক্রিকেট অপারেশন্সের সঙ্গে আলাপ করে চিন্তা করব আমাদের ক্রিকেটটাকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল টন দ স
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি
শোবিজের একঝাঁক একঝাঁক অভিনয়শিল্পীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রথমে ইরেশ যাকের, তারপর সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে রাজধানীর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা চলছে। এ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
সিদ্দিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনা ঘটনা নিয়ে আজাদ আবুল কালাম গণমাধ্যমে বলেন, “সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তো মব। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না। কেন যেন মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই। একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। কিছু লোক তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে!”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, “দলবদ্ধভাবে সিদ্দিককে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে, আক্রমণ করেছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলেছে, এরপর থানায় সোপর্দ করেছে। থানায় যদি সোপর্দ করতেই হয়, তাহলে প্রথমে কেন আইন হাতে তুলে নিল? তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে— এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় নানা স্তরে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হস্তে দমন করবে।”
ঢালাওভাবে অভিনয়শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে বিস্মিত আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে হত্যা মামলা হচ্ছে! দেখে মনে হচ্ছে, সবাইকে মামলার মধ্যে ফেলতে হবে। ৩০০-৪০০ জন মামলার আসামি, এটা অবাস্তব একটা অবস্থা। একজন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পী রাস্তায় গিয়ে মানুষকে গুলি করবে? যে মানুষটি মামলা করেছেন, তিনি আন্দোলনের সময় আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন; তিনি মামলা করেছিলেন অনেক লোকের নামে। মামলার নথিতে শিল্পীদের অনেকের নাম দেখলাম, তারা রাস্তায় নেমে মানুষকে গুলি করবে!”
সরকারিভাবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করেন আজাদ আবুল কালাম। তিনি বলেন, “সরকারিভাবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিত হবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা। নিরুৎসাহিত করা। যে ব্যক্তি মামলা করছেন, যদি প্রমাণিত হয়, শিল্পীরা কেউই গুলি করেনি, তখন তো এটা মিথ্যা মামলা হবে। এ রকম মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি শিল্পীদের নামে মামলা করেছেন, তার কী শাস্তি হবে, তারও বিধান থাকতে হবে।”
“কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, তা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। শুধু শিল্পী না, একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনি তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তাকে অপরাধী বলতে পারেন না। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন না। মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা শুরু করলেন, এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে, এটাই যদি আমাদের মনস্তত্ত্ব হয়, তাহলে বিভক্তি আরো বাড়বে।” বলেন আবুল কালাম আজাদ।