সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হালিশহরের একটি কনভেনশন হলে সন্দ্বীপ উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন।  
সন্দ্বীপ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার সজীব ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুজা উদ দৌলা সজীবের যৌথ সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষাবিদ ও তরুণ রাজনীতিবিদ সাঈদ আল নোমান। 
আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন। 
সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমানের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হালিশহর থানার বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন  দীপ্তি, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, সন্দ্বীপ পৌরসভা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন দিদার, সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুল ওয়াহাব কবির, ইন্জিনিয়ার নসরুল কবির মনির তালুকদার, কাউছার আহমেদ চেয়ারম্যান, মাস্টার আবুল কাশেম, আবু সুফিয়ান পাশা সুজন, এম এ হালিম, পতেঙ্গা থানা বিএনপি নেতা কাজী জিয়া উদ্দীন সোহেল, সন্দ্বীপ পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো.

মাঈন উদ্দীন। 
উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা আবু সায়েম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মুক্তাদের মাওলা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম অরিক, যুবদল নেতা মোশাররফ হোসেন, সন্দ্বীপ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মাহী, সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম, আহবায়ক কমিটির সদস্য  কামরুল হাসান, সন্তোষপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সরোয়ার হোসেন জুয়েল, মাঈটভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলীমুল কায়েস নিপুলসহ  অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। 
প্রধান অতিথি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির ভিশন বা কোনো গোষ্ঠীর মিশনের ভিত্তিতে সংস্কার হবে না। বাংলাদেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। তারেক জিয়ার দেওয়া ৩১ দফার জন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে।’ 
সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন হবে, নির্বাচনে আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল জিতবে, জিততেই হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ বাবা আব্দুল্লাহ আল নোমানের দেখানো পথে চট্টগ্রামের মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপস থ ত ছ ল ন ছ ত রদল র স ব এনপ র র সদস য রহম ন য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্য কেন? আদিবাসী নারী শ্রমিকরা পাই না সমান মজুরি

‘‘সাম্যের গান গাই-
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই।
বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’’

কাজী নজরুল ইসলাম ‘নারী’ কবিতায় নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলেছেন। কিন্তু, এ বৈষম্য সমাজের সর্বস্তরে এখনো রয়ে গেছে। দিনাজপুরের হাকিমপুরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারী শ্রমিকেরা। পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেও সমান মজুরি পাচ্ছেন না তারা।

হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাড়া ঘুরে জানা যায়, বছরে আমন এবং ইরি মৌসুমে ধানের চারা রোপণ, ক্ষেত নিড়ানিসহ ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করেন নারী শ্রমিকেরা। পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে এসব কাজ করেন তারা। এ কাজে পুরুষ শ্রমিকেরা ৫০০ টাকা দৈনিক মজুরি পেলেও নারী শ্রমিকেরা পান ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। শুধু ধানের মৌসুমেই নয়, অন্যান্য ফসলের ক্ষেতে কাজ করলেও তারা পুরুষের সমান মজুরি পান না। এই বৈষম্য দূর হলে আরেকটু স্বচ্ছল জীবনযাপন করা যেত বলে তারা মনে করেন।

হাকিমপুর পৌর এলাকা চন্ডিপুর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাড়ার নারী শ্রমিক লক্ষ্মী হাসদা ও শান্তি সরেন বলেন, ‘‘আমরা বছরে দুই সিজন ধানের চারা রোপণসহ কাটা-মাড়াই করি। সকাল ৮ থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত কাজ করি। কিন্তু মজুরি কম পাই। পুরুষরা ৫০০ টাকা পেলে আমরা পাই সাড়ে ৩০০ টাকা। এটা কেমন নিয়ম?’’

অপর নারী শ্রমিক সুরুজ মনি হেম্ব্রন বলেন, ‘‘এখন তো হামরা তেমন কাম পাই না। আলু ও সরিষার মাঠে এখন মুসলমান বেটি ছোলরা কাম করে। আগে আমরাই করতাম, এখন অনেক কাম কমে গেছে। এরপর আবার পুরুষ মানুষের চেয়ে হামাক হাজিরাও কম দেয়। হারা (আমি) চলবো কি করে?’’

একই প্রশ্ন করেন হিলির তালতলার রানী হেম্ব্রন ও বিউটি হেম্ব্রন। শ্যামলী হাড্ডি বলেন, ‘‘এই বৈষম্যের কারণে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারছি না। বৈষম্য দূর হলে আরেকটু ভালো করে চলতে পারতাম।’’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাকিমপুর উপজেলার ১ নাম্বার খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ছদরুল শামীম স্বপন বলেন, ‘‘আমরা জানি, নারী-পুরুষ সমান অধিকারী। কিন্তু, সমাজে নারী শ্রমিকেরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তারা সঠিক মজুরি পায় না। আমি শ্রমিক ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলব- আপনারা এই বৈষম্য দূর করুন। নারীর ন্যায্য মজুরির ব্যবস্থা করুন।’’

খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি শাহানুর আলম শাহিন বলেন, ‘‘আমাদের এই অঞ্চলে অনেক আদিবাসী নারী শ্রমিক আছেন, যারা বৈষম্যের শিকার। আমি গৃহস্থ এবং কৃষকদের বলতে চাই, আপনারা বৈষম্য না করে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের সমান মজুরি দেবেন।’’

ঢাকা/তারা

সম্পর্কিত নিবন্ধ