খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
Published: 8th, March 2025 GMT
সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হালিশহরের একটি কনভেনশন হলে সন্দ্বীপ উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন।
সন্দ্বীপ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার সজীব ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুজা উদ দৌলা সজীবের যৌথ সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষাবিদ ও তরুণ রাজনীতিবিদ সাঈদ আল নোমান।
আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন।
সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমানের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হালিশহর থানার বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, সন্দ্বীপ পৌরসভা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন দিদার, সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুল ওয়াহাব কবির, ইন্জিনিয়ার নসরুল কবির মনির তালুকদার, কাউছার আহমেদ চেয়ারম্যান, মাস্টার আবুল কাশেম, আবু সুফিয়ান পাশা সুজন, এম এ হালিম, পতেঙ্গা থানা বিএনপি নেতা কাজী জিয়া উদ্দীন সোহেল, সন্দ্বীপ পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো.
উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা আবু সায়েম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মুক্তাদের মাওলা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম অরিক, যুবদল নেতা মোশাররফ হোসেন, সন্দ্বীপ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মাহী, সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম, আহবায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান, সন্তোষপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সরোয়ার হোসেন জুয়েল, মাঈটভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলীমুল কায়েস নিপুলসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির ভিশন বা কোনো গোষ্ঠীর মিশনের ভিত্তিতে সংস্কার হবে না। বাংলাদেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। তারেক জিয়ার দেওয়া ৩১ দফার জন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে।’
সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন হবে, নির্বাচনে আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল জিতবে, জিততেই হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ বাবা আব্দুল্লাহ আল নোমানের দেখানো পথে চট্টগ্রামের মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপস থ ত ছ ল ন ছ ত রদল র স ব এনপ র র সদস য রহম ন য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল