কী বার্তা দেবেন বিএসইসি চেয়ারম্যান, অপেক্ষায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
Published: 9th, March 2025 GMT
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজে দ্রুত গতি ফেরাতে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। কী বার্তা নিয়ে আসছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান, তা নিয়ে জল্পনা কল্পনায় ক্ষণ গুনছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে মনস্তাত্ত্বিক চাপ থাকলেও ইতিবাচক বার্তার প্রত্যাশায় রয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় সিকিউরিটি কমিশন ভবনের মাল্টিপারপাস হলে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে কমিশনের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (৯ মার্চ) রাতে বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা রাইজিংবিডি ডটকমকে কে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তা অফিস করেনি, গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে
ডিএসইতে কমেছে লেনদেন, সিএসইতে বেড়েছে
সূত্র জানায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোবল দৃঢ় করতেই সোমবার এ বৈঠকটি ডেকেছে কমিশন। সাম্প্রতিক সময়ে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিএসইসিতে কাজের ভাটা পড়েছে। কর্মবিরতির কারণে অনেক কাজ জমে গেছে। আগামীকালের বৈঠকে কাজে গতি ফেরাতে করণীয় সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মনোবল দৃঢ় করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসিতে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানসিক চাপের মধ্যে পড়েছেন। সবাই হতাশার মধ্যে আছেন, আর ভাবছেন কখন, কি যেন হয়! অনেক কর্মকর্তা এটাকে ‘ট্রমা’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এর ফলে কর্মকর্তারা কাজে মন দিতে পারছেন না। এই ট্রমা কাটিয়ে উঠতে কাজে ফিরতে চান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে, কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মনে আশা সঞ্চার হয়েছে। তাদের একটাই প্রত্যাশা ভেদাভেদ ভুলে কমিশনের নেতৃত্বে তারা কাজ করবেন। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি রয়েছে তা পূরণ করার লক্ষ্যে কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশা করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কমিশন নমনীয় হয়ে দাবিগুলো বিবেচনা করলে শিগগিরই বিএসইসি কাজে গতি ফিরে পাবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির একাধিক কর্মকতারা বলেন, সোমবার সকাল ১০টায় বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান কমিশনাররা সবাই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসিতে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা ও দিক-নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।
এদিকে রবিবার দুপুরে পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সাংবাদিকদের বলেন, “আজ এখানে গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা এসেছিলেন। তারা আমাদের সহমর্মিতা জানিয়েছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরে এসেছেন। আমরা সবাইকে বলেছি, কাজে যোগদান করতে। আমরা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব। সবাই কাজে যোগদান করলে, কাজ স্বাভাবিক নিয়মে চলে চলবে।”
ঢাকা/এনটি/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ন কর মকর ত পর স থ ত র ব এসইস র
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।
শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা