বন্দরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় গনমাধ্যম কর্মীর স্ত্রী ও কন্যা সন্তান রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের  হয়েছে।  

এ ঘটনায় সাংবাদিকের স্ত্রী আহত নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল হামলাকারি লেডি সন্ত্রাসী শারমিন বেগম, তার মেয়ে সোনিয়া ও সন্ত্রাসী সোহেল বাবুসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টায় বন্দর উপজেলার লম্বাদরদি এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার লম্বাদরদি এলাকার সাংবাদিক মাছুম বিল্লাহ স্ত্রী নাসরিন আক্তার  সাথে একই এলাকার মোক্তার হোসেন মিয়ার স্ত্রী লেডি সন্ত্রাসী শারমিন বেগমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।

এর জের ধরে প্রতিপক্ষ লেডি সন্ত্রাসী শারমিন বেগম  অভিযোগের বাদিনী স্বামী ও গনমাধ্যম কর্মী মাছুম বিল্লাহসহ অভিযোগের বাদিনী তার পরিবারের  বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। 

গত ১ মাস ধরে অভিযোগের বাদিনীর স্বামী গণমাধ্যম কর্মী মাছুম বিল্লাহ তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে পাঁকা স্থাপনা নির্মান কাজ চালিয়ে আসছিল।

এর ধারাবাহিকতা গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টায় গণমাধ্যম কর্মী মাছুম বিল্লাহ ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রিতু আক্তার (২০) নির্মিত ভবনের নির্মান সামগ্রী ক্রয় করার উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হলে ওই সময় লেডি সন্ত্রাসী শারমীন বেগমের হুকুমে ২নং বিবাদী সোনিয়া বেগমের সহযোগিতায় একই এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের সন্ত্রাসী ছেলে অভিযোগের ৩নং বিবাদী সোহেল বাবুসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন সন্ত্রাসী কলেজ ছাত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য গ্যাসের পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করে কাটা রক্তাক্ত জখম করে নির্মান সামগ্রী ক্রয়ের নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১ ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

দুই উপদেষ্টার গড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে গতিরোধ করা, সরকারি কাজে বাধা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে রোববার রাতে গোয়ানঘাট থানায় ১৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন থানার এসআই ওবায়েদ উল্লাহ। মামলার পর সোমবার ভোরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- মামলার ৬নং আসামি কালিনগরের দেলোয়ার হোসেন দুলু, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান মিয়া ও ছৈলাখেল অষ্টম খন্ডের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ।

শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তারা ফেরার পথে জাফলং পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে বিএনপির সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে দুই উপদেষ্টার আটকে নানান স্লোগানে বিক্ষোভ করা হয়। ঘটনার পর গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে বহিষ্কার ও জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি আজির উদ্দিনকে শোকজ করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, গতকাল রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সদ্য বহিষ্কৃত গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে। দ্বিতীয় আসামি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সোহেল আহমদ, ওমর ফারুক, সুমন শিকদার, দেলোয়ার হোসেন দুলু, আব্দুস সালাম ও আব্দুল জলিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ