মা আইসক্রিম খেয়ে ফেলেছে, পুলিশ ডাকলো শিশু
Published: 12th, March 2025 GMT
কোনো মূল্যবান জিনিস চুরি হওয়ার পর চোর ধরতে পারলে মানুষ তাকে পুলিশে দেয়। আবার মানুষ নিজেকে অধিকার বঞ্চিত মনে করলেও দোষীর বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা চায়। কিন্তু আইসক্রিম খেয়ে ফেলার অপরাধে কি কাউকে পুলিশে দেওয়া যায়?
শুনতে অবাক লাগলেও আইসক্রিম খাওযার অপরাধে ৪ বছরের এক শিশু তার মায়ের নামে অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ করে থেমে থাকেনি হেল্প লাইনে কল দিয়ে পুলিশ ডেকেছে। যদিও মাকে শেষ পর্যন্ত কারাগারে যেতে হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে।
ডব্লিউএসএলএস ১০ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইসকনসিনের মাউন্ট প্লেজেন্ট এলাকা থেকে ৯১১ নম্বরে একটি ফোন আসে। কলটি ধরার পরে ওপর প্রান্তের শিশুটি বলে ওঠে, ‘আমার মা খুব খারাপ করেছে।’ পুলিশ প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেনি বলে বিস্তারিত জানতে চায়। শিশুটি বলে, তার মা আইসক্রিম খেয়ে ফেলেছে। এর বিচার করতে হবে। তার মাকে ধরে নিয়ে যেতে হবে।
এরপরে শিশুটির হাত থেকে তার মা ফোন নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজেই নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেন। এদিকে শিশুটির দাবি রাখতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের বাড়িতে আসেন। এরপর শিশুকে তারা বোঝান। শিশুটি পুলিশের কথা বুঝতে পারে। এরপর সে আর তার মাকে পুলিশে দিতে চায় না।
কিন্তু তখনও সে বলতে থাকে ‘একটু আইসক্রিম খেতে চেয়েছিলাম, আমাকে দেওয়া হয়নি।’
পরে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা শিশুটির জন্য আইসক্রিম নিয়ে আবার তাদের বাসায় যান। আইসক্রিম পেয়ে খুব খুশি হয়ে শিশুটি পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবিও তুলেছে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ কর মকর ত আইসক র ম খ
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত