কিডনি সুস্থ রাখতে হলে সবচেয়ে জরুরি হলো সচেতন থাকা। এই রোগের বিশেষ কোনো প্রাথমিক লক্ষণ থাকে না। যখন লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় ততক্ষণে কিডনির প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ভাগই বিকল হয়ে যায়। এ জন্য কিডনির রোগ প্রতিরোধে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনির প্রদাহ ও স্থূলতা বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। তাহলেই এই রোগটি প্রতিরোধ করা যাবে। সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সোসাইটির সভাপতি এ কে আজাদ খান।

আজ বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এ আহ্বান জানান। দুপুরে মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা.

হারুন অর রশিদ। এর আগে কিডনি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আপনার কিডনি কি সুস্থ? দ্রুত শনাক্তকরণ ও কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষা করুন’।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান সরাসরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্যভাবে কিডনি সুস্থ রাখার বিষয়টি জানাতে হবে। এ জন্য স্কুল পর্যায়ে শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সংস্কৃতিকর্মী এমন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষদের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি ডায়াবেটিক সমিতির অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস সম্পর্কে মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছেন। তিনি ধূমপান থেকে বিরত থাকার ওপরে জোর দিয়ে বলেন, ধূমপান কেবল কিডনির রোগের ঝুঁকিই বৃদ্ধি করে না, সব ধরনের অসুখেরও অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে।

বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ঢাকা, ১৩ মার্চ

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন