২১ মার্চ পর্যন্ত দেশের আকাশে দেখা যাবে যেসব চমক
Published: 15th, March 2025 GMT
এখন চৈত্র মাস। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘হারিয়ে যাওয়া’ কবিতায় লিখেছেন, ‘আমি ছিলাম ছাতে/ তারায়–ভরা চৈত্রমাসের রাতে’। কবিগুরুর রেশেই বলা যায়, চৈত্র মাসের আকাশে এখন সন্ধ্যার পর থেকেই তারার মেলা বসছে।
১৫ মার্চ
এদিন আকাশে ভালো দেখা যাবে মঙ্গল গ্রহ। ঠিক রাত ২টা ৩৯ মিনিটে মধ্য আকাশে অবস্থান করবে মঙ্গল গ্রহ। লাল গ্রহ মঙ্গলকে এখন ক্যাস্টর ও পোলাক্সের নামের তারা নিচে দেখা যাবে। ক্যাস্টর ও পোলাক্স জেমিনি তারকাপুঞ্জে অবস্থিত। আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ বেশ স্পষ্ট দেখা যাবে। শনি গ্রহ ও শুক্র গ্রহের অবস্থান থাকলেও দেখা কিছুটা কঠিন হবে। ৬টা ৪৪ মিনিটে আকাশে ছোট টেলিস্কোপ নিয়ে সাইকি গ্রহাণু দেখার সুযোগ পাবেন। রাত ৯টা ১০ মিনিটে আকাশের এরিস বা মেষ তারকামণ্ডলে মাসালিয়া নামের গ্রহাণু দেখতে পাবেন।
১৬ মার্চ
আকাশে মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ বেশ ভালোভাবে দেখা যাবে। শীত ও বসন্তের আকাশের মধ্যে ঐতিহ্যগত বিভাজনে এদিন ক্যানসার বা কর্কট তারকামণ্ডলের অনুজ্জ্বল অবস্থান দেখা যাবে। এর অবস্থান সন্ধ্যার সময় দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে থাকবে। পশ্চিমে জেমিনি (মিথুন) ও পূর্বে লিও (সিংহ) তারকামণ্ডলের মধ্যে থাকবে। ক্যানসার তারকামণ্ডলের মাঝখানে স্টার ক্লাস্টার এম৪৪ দেখা যাবে। তারার এই মৌচাক খালি চোখে অস্পষ্টভাবে দেখা যাবে।
১৭ মার্চ
সন্ধ্যায় ২৯ অ্যাম্ফিট্রাইট নামের একটি গ্রহাণু লিও তারকামণ্ডলে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। চাঁদ এদিন অ্যাপোজি অবস্থানে পৌঁছাবে। চাঁদে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবী থেকে তার সবচেয়ে দূরত্ব ২৫২১২৩ মাইলে সরে যাবে এদিন।
ডগ স্টার নামে খ্যাত সিরিয়াস (লুব্ধক) সূর্যের পরে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। দক্ষিণ আকাশে জ্বলজ্বল অবস্থান করবে। সিরিয়াসের ওপরের ডান দিকে ওরিয়নের তারা দেখা যাবে। সেখানে রিগেল নামের উজ্জল তারা দেখা যাবে।
১৮ মার্চ
বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদ গ্যানিমিড রাত ৯টা ৩০ মিনিটে গ্রহটির ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। আরেক চাঁদ ইউরোপা ট্রানজিট করবে প্রায় এক ঘণ্টা পরে। বৃহস্পতি গ্রহ খুঁজে পশ্চিমে আপনি দুটি চাঁদকে অনুসরণ করতে পারেন।
১৯ মার্চ
নেপচুন এদিন সূর্যের দূরের দিকে অবস্থান করবে। একে কনজেকশন বলে। এদিন থেকে নেপচুন সন্ধ্যার আকাশ থেকে সকালের আকাশে স্থানান্তরিত হবে।
২০ মার্চ
উজ্জ্বল নক্ষত্র আন্টারেস চাঁদের কাছে দেখা যাবে।
২১ মার্চ
দক্ষিণ নক্ষত্রপুঞ্জ পিউপিস এখন সন্ধ্যার অন্ধকারে বেশ উজ্জ্বলভাবে দেখা যাবে।
সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ ও স্কাই ম্যাপস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি