পটুয়াখালীর বাউফলের ধূলিয়া এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজবোঝাই ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোরে ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় ডাকাতদের এ হামলায় ৮ জন আহত হয় এবং পালানোর সময় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে কবির ব্যাপারি (৪৫) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছে।

নিহত কবির ভোলা সদরের দক্ষিণ বালিয়া এলাকার মফিজুর ব্যাপারির ছেলে।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে গলাচিপা থেকে শহিদ মাতাব্বর, ট্রলার চালক সেলিম মাঝিসহ ৮ জন ১০ হাজার তরমুজে ভর্তি একটি ট্রলার নিয়ে ঢাকার মোকামে নদী পথে রওনা দেন। তরমুজ ভর্তি ট্রলারটি বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীর পূর্বপাশে তালতলা গেলে দ্রুতগামী একটি ট্রলারে ৭-৮ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল তাদেরকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ডাকাত দলটি তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে তরমুজবোঝাই ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে ট্রলারে থাকা চালকসহ ৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এসময় ট্রলারে থাকা একজন এক ডাকাতকে ঝাপটে ধরে নদীতে ঝাঁপ দিলে অন্যান্য ডাকাতরা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলারে থাকা লোকজনের ডাক চিৎকারে নদীর তীরে স্থানীয়রা লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হন। তারা নদীতে থাকা ডাকাত কবির হোসেনকে গণপিটুনি দিলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে চিকিৎসক ডাকাত কবির ব্যাপারিকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডাকাতের হামলায় আহতরা হলেন- গলাচিপা উপজেলার চর কপাল বেরা এলাকার মৃত হানিফ মাতব্বরের ছেলে শহিদুল মাতব্বর (৫৮), ডাকুয়া গ্রামের নুর ইসলাম সরদারের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৪), ফিরোজ মাতব্বর (৩৭), বারেক মাতব্বর (৪৮), ফরহাদ হোসেন (৪৫), হাবু পেশকার (৩৭), ফয়সাল (২৮) ও সেলিম মাঝি (৫৭)।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত শহিদুল মাতব্বর, মেহেদি হাসান ও সেলিম মাঝিকে শনিবার দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয় বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.

মামুন বলেন, একজন ডাকাত সদস্য গণপিটুনিতে আহত হয়, তাকে সকালের দিকে পটুয়াখালী চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ডাকাত সদস্য শনিবার দুপুরের দিকে মারা যায়।

ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ট্রলারবোঝাই তরমুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণপ ট ন গণপ ট ন তরম জ

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি

শোবিজের একঝাঁক একঝাঁক অভিনয়শিল্পীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রথমে ইরেশ যাকের, তারপর সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে রাজধানীর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা চলছে। এ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।

সিদ্দিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনা ঘটনা নিয়ে আজাদ আবুল কালাম গণমাধ্যমে বলেন, “সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তো মব। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না। কেন যেন মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই। একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। কিছু লোক তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে!”

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, “দলবদ্ধভাবে সিদ্দিককে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে, আক্রমণ করেছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলেছে, এরপর থানায় সোপর্দ করেছে। থানায় যদি সোপর্দ করতেই হয়, তাহলে প্রথমে কেন আইন হাতে তুলে নিল? তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে— এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় নানা স্তরে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হস্তে দমন করবে।”

ঢালাওভাবে অভিনয়শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে বিস্মিত আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে হত্যা মামলা হচ্ছে! দেখে মনে হচ্ছে, সবাইকে মামলার মধ্যে ফেলতে হবে। ৩০০-৪০০ জন মামলার আসামি, এটা অবাস্তব একটা অবস্থা। একজন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পী রাস্তায় গিয়ে মানুষকে গুলি করবে? যে মানুষটি মামলা করেছেন, তিনি আন্দোলনের সময় আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন; তিনি মামলা করেছিলেন অনেক লোকের নামে। মামলার নথিতে শিল্পীদের অনেকের নাম দেখলাম, তারা রাস্তায় নেমে মানুষকে গুলি করবে!”

সরকারিভাবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করেন আজাদ আবুল কালাম। তিনি বলেন, “সরকারিভাবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিত হবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা। নিরুৎসাহিত করা। যে ব্যক্তি মামলা করছেন, যদি প্রমাণিত হয়, শিল্পীরা কেউই গুলি করেনি, তখন তো এটা মিথ্যা মামলা হবে। এ রকম মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি শিল্পীদের নামে মামলা করেছেন, তার কী শাস্তি হবে, তারও বিধান থাকতে হবে।”

“কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, তা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। শুধু শিল্পী না, একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনি তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তাকে অপরাধী বলতে পারেন না। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন না। মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা শুরু করলেন, এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে, এটাই যদি আমাদের মনস্তত্ত্ব হয়, তাহলে বিভক্তি আরো বাড়বে।” বলেন আবুল কালাম আজাদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক
  • পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
  • প্রথম আলোর সাংবাদিককে বৈষম্যবিরোধী নেতার হুমকি, থানায় জিডি
  • গাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, হাতুড়িপেটায় একজন নিহত
  • সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি