ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘ডি' ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিভাগসমূহের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ২০২৪-২৫ বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

এতে থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদভুক্ত তিনটি বিভাগ এবং কলা অনুষদের একটি বিভাগসহ মোট ৪ বিভাগে ৩২০টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২ টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার এ আবেদন শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২৮ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত। এছাড়া আগামী ১১ মে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন:

ইবিতে আওয়ামীপন্থিদের অংশগ্রহণে ভর্তি কমিটির সভায় বাঁধা

অবরোধ-মানববন্ধনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী কর্মসূচি অব্যহত

শনিবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.

মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি সুত্রে জানা যায়, ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত তিনটি বিভাগ আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দা'ওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ও আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ এবং কলা অনুষদভুক্ত আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগসহ মোট চার বিভাগের ৩২০টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

এ বছর ১ হাজার ৫০০ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের (iu ac.bd) মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করা যাবে। শিক্ষার্থীদের মোবাইল/অনলাইন ব্যাকিং সেবার (বিকাশ/নগদ/রকেট) মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি জমা দিতে হবে।

ভর্তিচ্ছুদেরকে অবশ্যই ২০২৩ বা ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২০, ২০২১ অথবা ২০২২ সালে মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (iu.ac.bd) পাওয়া যাবে। এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, চূড়ান্ত ভর্তি প্রক্রিয়ার সময়সীমা এবং ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ক্লাস শুরুর তারিখ পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://www.iu.ac.bd/admission এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে জানানো হবে।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অ য ন ড ইসল ম ক স ট ড জ পর ক ষ র পর ক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশে গিয়েও সুদিন ফেরেনি, কলা চাষে এল সাফল্য
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা