Samakal:
2025-09-18@05:52:51 GMT

ইমিউনিটি কীভাবে বাড়াবেন

Published: 17th, March 2025 GMT

ইমিউনিটি কীভাবে বাড়াবেন

পুষ্টিকর খাবার মানে সুস্থ শরীর। রোজকার ডায়েটে সবই তো রাখা হচ্ছে এখন। তা সত্ত্বেও ইমিউনিটির এত অভাব! খাবার থেকে পুষ্টি আসে, এ কথা ঠিক। তবে ইমিউনিটির সঙ্গে যখন আপস করাই হচ্ছে, তার মানে পুষ্টিতে কমতি রয়েছে, সেটি স্পষ্ট। ভাত, ডাল, তরিতরকারি, মাছ-মাংস, ডিম, দুধ, ফল, পানি এসব খেলে সুস্থ থাকবেন তখনই, যখন তার পরিমাণটা ঠিক ঠিক হবে। আপনার শরীরে যতটা দরকার, মেপে মেপে ঠিক ততটাই দিতে হবে এবং তা যে শরীর ভালোভাবে গ্রহণ করছে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
ব্যালান্সড ডায়েট মানে কিন্তু শাকসবজি বা লাগজারিয়াস খাবার নয়। বাজারে যা পাওয়া যায়, যা প্রতিনিয়ত খেয়ে আসছি আমরা, সেগুলো দিয়েই ব্যালান্সড ডায়েট চার্ট তৈরি করা সম্ভব। উপকরণের চেয়েও এখানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিমাণ এবং রান্নার ধরন। 
এমনভাবে রোজকার ডায়েট সাজাতে হবে, যাতে খাবারের মূল যে ছয়টা উপকরণ– প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল এবং পানি– এই প্রতিটিই পরিমিত পরিমাণে থাকে। কার্বোহাইড্রেট বলতে মূলত আমরা বুঝি ভাত-রুটি। রোজকার যে এনার্জি আমাদের দরকার, সেটি কিন্তু কার্বোহাইড্রেট থেকেই আমরা পাই। প্রোটিন জরুরি মাসল বিল্ডিংয়ের জন্য। আমরা যখনই কোনো অসুখে ভুগি, তখন ব্যাপক পরিমাণে মাসল ব্রেকডাউন হয়। যেটা এখন খুব হচ্ছেও সংক্রমণের কারণে। দীর্ঘদিন অসুখে ভুগলে আমরা যে রোগা হয়ে যাই, সেটা মূলত এই মাসল ব্রেকডাউনের কারণেই। সেজন্যই প্রোটিন নিয়ে এত জোরাজুরি এখন। শরীর যাতে সেই পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকে, তাই নিয়মিত প্রোটিন খেতে হবে। ইনস্ট্যান্ট এনার্জি সোর্সের অনেকটা আসে ফ্যাট থেকেও। এ ছাড়া শরীরের অনেক জরুরি প্রক্রিয়াই ফ্যাট ছাড়া অসম্পূর্ণ। অনেকেই ভাবেন, ডায়েট থেকে ফ্যাট বাদ দিয়ে দিলেই তা স্বাস্থ্যকর হয়ে যায়। এই ধারণা ভুল। এমন অনেক ভিটামিন আছে, যা শরীর মানিয়ে নেয় ফ্যাটের সাহায্যে। তাই ফ্যাটও ডায়েটে সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ও মিনারেল প্রধানত ইমিউনিটির জন্য জরুরি। নানা ধরনের অসুখ থেকে সুরক্ষা দিতে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেল দরকার। এ ছাড়া দরকার ফাইবার। খাবার শুধু খেলেই তো হয় না, তা যাতে শরীরে ভালোমতো অ্যাবসর্ব হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। খাবারের যথাযথ ডাইজেশন তাই খুব জরুরি। সে কাজটাই করে ফাইবার। হজমশক্তি এবং বাওয়েল সিস্টেম ভালো রাখতে তাই প্রতিদিনের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রাখতে হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই ফ্লুইড বা পানি। শুধু এই সময়ের জন্য নয়, সারা বছরই শরীরে পর্যাপ্ত পানি দরকার। শরীর যাতে ডিহাইড্রেটেড না হয়ে পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ সবক’টিই যদি দৈনন্দিন ডায়েটে পরিমিত পরিমাণে থাকে, তাহলে সেটিই হবে ব্যালান্সড ডায়েট। এই উপকরণগুলোর মধ্যে শরীরে যদি কোনো একটারও অভাব হয়, সে ক্ষেত্রে সবার আগে প্রভাব পড়বে এনার্জি লেভেলে। কাজ করায় উৎসাহ পাবেন না, ক্লান্ত লাগবে। তারপর প্রভাব পড়বে ইমিউন রেসপন্সে। শারীরিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে আর বাহ্যিক রোগ-জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়েও শরীর পেরে উঠবে না। পরিমাণের মোটামুটি একটা হিসাব ধরতে হলে রোজকার খাবারে ফ্যাট, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের অনুপাত ৪:৪:৯ হলে আদর্শ। অর্থাৎ, একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির দৈনন্দিন যত কিলোক্যালরির দরকার, কার্বোহাইড্রেট লাগবে তার ৫৫-৬৫ শতাংশ, ফ্যাট লাগবে ১৫-৩০ শতাংশ এবং প্রোটিন লাগবে ১০-১৫ শতাংশ। এই পরিমাণটা জেন্ডার, বয়স এবং শরীরভেদে আলাদা হতে পারে। কারও যদি ডায়াবেটিস থাকে, তার যেমন কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমাতে হতে পারে, তেমনি ওবেসিটিতে ফ্যাটের পরিমাণ হয়তো খানিকটা কমবে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য পর ম ণ দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের গুদামে ইতোমধ্যেই এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো শুরু হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন ভবনের বেসমেন্টে অবস্থিত ইসির গুদামে নির্বাচনী সরঞ্জাম দেখতে যান। এ সময় তারা সংগৃহীত ভোটগ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখেন।

এসব নির্বাচনী সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, লক, ঢাকনা, গানি ব্যাগ, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম, প্যাকেট ইত্যাদি।

ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী দ্রব্য, ফরম, প্যাকেট বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বাসসকে বলেন, ‘আজ বার্ষিক দ্রব্য সংগ্রহের পরিকল্পনা সংক্রান্ত মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম আসা শুরু হয়েছে।’

ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বাসসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা কোনো কোনো নির্বাচনী উপকরণ প্রায় অর্ধেক পেয়েছি। আবার কোনো কোনো উপকরণ এখনো আসেনি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী দ্রব্য সামগ্রী পেয়ে যাব।’

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, বর্তমানে দেশের ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে ভোটকক্ষ হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের বিষয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত ব্রাস সিল ও সিলগালা বাদে অন্যান্য উপকরণগুলো আমরা পাচ্ছি। সময়সীমা দেওয়া আছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপকরণগুলো পাচ্ছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল দ্রব্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি