ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট এলাকার যানজট কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। মার্কেট এলাকাগুলোতে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে দুপুরে ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ডাইভারসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীর সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২১ ও ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যানবাহনের চাপ বাড়লে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে ডাইভারসন দেওয়া হবে। সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে পান্থপথ হয়ে নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ঝিগাতলা ও মিরপুরগামী যানবাহনগুলোকে ফার্মগেট বা শাহবাগের দিকে ডাইভারসন দেওয়া হবে। পান্থপথ গ্রিন রোড ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও ক্রসিংগামী যানবাহনগুলোকে গ্রিন রোডে, রাসেল স্কয়ার বা ফার্মগেটের দিকে ডাইভারসন দেওয়া হবে।

মিরপুর রোড ও ধানমন্ডি থেকে আসা সায়েন্সল্যাব হয়ে নিউমার্কেটগামী যানবাহনগুলোকে (সিটি বাস ব্যতীত) এলিফ্যান্ট রোড বা কাঁটাবন রোড অথবা পলাশী ক্রসিং হয়ে চলাচলের জন্য ডাইভারসন দেওয়া হবে। নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে মিরপুর সড়কগামী যানবাহনগুলোকে (সিটি বাস ব্যতীত) নীলক্ষেত ক্রসিং বা আজিমপুর ক্রসিং বা নিউমার্কেট-পিলখানা সড়কের দিকে ডাইভারসন দেওয়া হবে।

এ ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন মার্কেটসংলগ্ন রাস্তা যথাসম্ভব এড়িয়ে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য নজট ড এমপ ট এল ক ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ