ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে পরিকল্পনায় ছিলেন ফাহমিদুল ইসলাম। কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও তার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তবে সৌদি আরবের প্রস্তুতি ক্যাম্প শেষে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ঢাকায় ফেরেননি এই তরুণ ফুটবলার। জানা গেছে, তিনি ফিরে গেছেন ইতালিতে।

রোববার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ দল ঢাকায় পৌঁছালেও সেই দলে ছিলেন না ফাহমিদুল। বয়সে তরুণ হওয়ায় তাকে আপাতত জাতীয় দলের মূল পরিকল্পনা থেকে সরিয়ে রাখছেন কোচ কাবরেরা। তবে ইতালির চতুর্থ স্তরের ক্লাব ওলবিয়া কালসিওতে খেলা এই মিডফিল্ডার এখনো বাফুফের নজরদারিতে রয়েছেন।

ফাহমিদুলের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘সে ইতালি ফিরে গেছে। আপাতত আর দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে না। আসলে ওর বয়স কম। ও এখনও জাতীয় দলে খেলার জন্য পরিপক্ব হয়ে উঠেনি। ওকে আরও সময় দিতে হবে।’

এদিকে দলের জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ হলো, ইনজুরির কারণে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে খেলতে পারবেন না সুশান্ত ত্রিপুরা ও পাপন সিংহ। আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অনুপস্থিত থাকবেন এই দুই ফুটবলার।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ