ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়া নিয়ে ক্যাবরেরার ব্যাখ্যা
Published: 18th, March 2025 GMT
ইতালির ক্লাব ওলবিয়া কালসিও থেকে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন তরুণ ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম। বয়স মাত্র ১৮ হলেও তার প্রতি ছিল বিশেষ আগ্রহ। এক সপ্তাহ দলের সঙ্গে অনুশীলন ও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরও জাতীয় দলের চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। ক্যাম্প শেষে বাংলাদেশ দল ফিরলেও ফাহমিদুল ফিরে গেছেন ইতালিতে।
ফাহমিদুলের ফেরার বিষয়ে জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান জানান, ‘কোচের সঙ্গে আলোচনা করেই সে তায়েফ থেকে ইতালি ফিরে গেছে। স্কোয়াড হবে ২৩ জনের। কোচ সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্ত দল গড়েছেন।’
জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে আগেই করেছিলেন প্রশংসা। অথচ এখন তার মত, ফাহমিদুল জাতীয় দলে খেলার মতো প্রস্তুত নন, ‘সে সৌদি ক্যাম্পে ভালো অনুশীলন করেছে। তবে এই মুহূর্তে অন্য খেলোয়াড়রা আরও বেশি প্রস্তুত। তাকে আরও সময় দিতে হবে।’
ক্যাবরেরার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন দল গঠনে কোচের ভূমিকা নিয়ে। অনেকে আবার সন্দেহ করছেন জাতীয় দলে সিন্ডিকেটের উপস্থিতি রয়েছে কিনা। এদিকে দেশে ফিরে কোচ ক্যাবরেরা কথা বলেছেন নতুন ফুটবলার হামজাকে নিয়েও। তিনি বলেন, ‘হামজাকে নিয়ে সবাই রোমাঞ্চিত। প্রতি সপ্তাহে আমার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ভারতকে হারানো।’
ফাহমিদুলের জাতীয় দলের স্বপ্ন আপাতত থেমে গেলেও সমর্থকদের প্রশ্ন আসলে কি শুধু প্রস্তুতির ঘাটতি, নাকি এর পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে?
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ য ভ য় র ক য বর র জ ত য় দল র ক য বর র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন যখনই হোক, প্রস্তুত থাকতে হবে: সিইসি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা হলে ইসি সরকারের ‘ভাব’ বুঝতে পারবে। তখন নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলে—যখনই হোক নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
এ বিষয়ে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, আগে বলা হয়েছিল ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। সেই সময়সীমা মাথায় রেখে ইসি প্রস্তুতি শুরু করেছিল। সেভাবে এগিয়েছিল। এখন আবার নতুন ‘ডাইমেনশন’ এসেছে। যৌথ বিবৃতির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘যে ঘোষণাটা লন্ডনে বসে হয়েছে, এটা আপনারা যেটুকু জানেন, আমি এর বাইরে বেশি কিছু জানি না। আপনারা যেটুকু দেখেছেন মিডিয়াতে, আমিও সেটুকু দেখেছি।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে—এ সংক্রান্ত যৌথ বিবৃতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমি এটা টেলিভিশনে দেখেছি, এটাকে আমি ফরমাল, অফিশিয়াল ভাবতে পারতেছি না। সরকারের সঙ্গে আমাদের এখনো কথাবার্তা হয় নাই, কী ধরনের সিদ্ধান্ত আসে। আমরা এখন আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবতেছি। যখনই হবে, যখনই হয় যাতে আমরা ইলেকশনটা “ডেলিভার” করতে পারি।’
সিইসি আরও বলেন, ‘এখন আমরা প্রস্তুতির বাইরে কিছু চিন্তা করছি না। যখন সরকারের সঙ্গে কথা হবে যে ওনারা কী আলোচনা করেছেন, আমরা তো নিশ্চয় ওনাদের ভাব বুঝতে পারব, বুঝে তখন একটা তারিখ, তখন সেটা করব। এখন আমাদের চিন্তা–ভাবনা, ধ্যান–ধারণা, শয়নে–স্বপনে নিজেদের প্রস্তুতি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন—এটা এখনো তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, গেজেটের মাধ্যমে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ছয় মাস–আট মাস আগে ভোটের তারিখ বলার বিধান আইনে নেই।
সিইসি বলেন, যৌথ বিবৃতিতে তিনি যেটা দেখেছেন যে রমজানের আগেও নির্বাচন হতে পারে। সেখানে ‘যদি’ আছে।
নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের জন্য বড় প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো অনেকটা শেষ হয়েছে। সবচেয়ে বড় কাজ ভোটার নিবন্ধন, এটি মোটামুটি শেষ।
চলতি বছরের হালনাগাদে যাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সে তালিকা চূড়ান্ত হবে আগামী বছরের ২ মার্চ। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত থাকতে হয়। সাধারণত ভোটের তারিখের মাস দুয়েক আগে তফসিল ঘোষণা করা হয়। যেদিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, তার আগে যাঁদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ইসি চেষ্টা করবে। এ জন্য আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনার চিন্তা করছে ইসি। সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে—এই ওয়াদা তিনি দিতে পারবেন না। তাঁরা যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন, যাতে তরুণ প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাদের আস্থায় আনতে ইসি কী করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোও দেশের ভালো চায়। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তাদের অনেক ধরনের কথাবার্তা বলতে হয়। এগুলো তিনি রাজনৈতিকভাবে দেখেন।
সিইসি আরও বলেন, কেউ বিপক্ষে না থাকলে বুঝতে হবে কোনো ‘কোয়ালিটি’ নেই। বিপক্ষে কেউ বললে তখন শোধরানোর সুযোগ থাকে। এ জন্য কেউ বিরুদ্ধে বললে তিনি আহত হন না। তিনি এ ধরনের সমালোচনাকে স্বাগত জানান।