দেশ ও জাতি ভীষণ সংকট আর অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, সংস্কার নিয়ে সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। কিছু কিছু গিনিপিককে একটু বড় জায়গায় পৌঁছানো, স্বাবলম্বিতা অর্জন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা একটি ষড়যন্ত্র। আমরা বলতে চাই, নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত না করে সোজাসুজি নির্বাচন করার জন্য যা যা করা দরকার সেই সংস্কারগুলো করেন।

মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে-আইইবি'তে এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে এক্স- জেসিডি ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (ইইবি) আয়োজিত এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শোয়েব বাসরী হাবলু। এতে অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইইবির সভপাপতি প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী খালেদ হাসান ফাহিম প্রমুখ।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টার বক্তব্য উদ্বৃত্ত করে আসাদুজ্জামন রিপন বলেন, তিনি (আইন উপদেষ্টা) কিছু ছাত্রকে বলেছেন বাবারা তোমরা আরও ৫-১০ বছর থেকে দেশটাকে ঠিক করে দিয়ে যাও। আরও ৫ বছর! কেন? এটা ছাত্রদের মাঝে স্বৈরাচারী মনোভাব ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রবণতা। বিনা ভোটে বিনা নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধি ছাড়া একটি সরকার ৫/১০ বছর কি করে থাকে। এর আইনগত কোনো ভিত্তি নাই।
 
তিনি প্রশ্ন রাখেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশ পরিচালিত হওয়া সম্ভব হয় কিনা? একজন আইন উপদেষ্টা এটা কি করে বলেন, ভাবা যায়? কত বড় একটা ফেসিস্ট-আউট লুক। একটি ফেসিস্টকে তাড়িয়ে যদি আমরা আরেকটি ফ্যাসিবাদী ধারণা বহন করি! যদি একটি অনির্বাচিত সরকার ৫/১০ বছর থাকতে পারে-এই ধরণের আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করে-আকাঙ্ক্ষাকে উসকে দেয়া এটা একটা জঘন্য অপরাধ। সরকার সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলেছে। 

রিপন বলেন, আমরা এমন সরকার ব্যবস্থা চাই-যা গণতান্ত্রিকপন্থায় নির্বাচিত হবে। কিন্তু তা না করে সরকার শুধু প্রধানমন্ত্রী পরপর দুই বার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না এমন সংস্কারের কথা বলছে। এতে জনগণের লাভ কি। আমরা ৫ বছর পর কোনো মোঘল সম্রাট তৈরি করতে চাই না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন