মতলব উত্তরে ছাত্রদল নেত্রীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
Published: 19th, March 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবাইদা ইসলামের পৈতৃক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তাঁর অভিযোগ, ফেসবুকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্ট দেওয়ার জেরে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সূত্র জানা যায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে জোবাইদা ইসলামের পৈতৃক বাড়ির সামনে ৪-৫টি মোটরসাইকেলে কয়েক ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছিল। একপর্যায়ে তারা ওই নেত্রীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে তাঁর একটি বসতঘরের মালামাল পুড়ে গেছে। এ সময় ওই ঘরে পরিবারের একাধিক সদস্য উপস্থিত থাকলেও তাঁরা দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে যান এবং গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জোবাইদা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও তাদের দোসররা তাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন এবং মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক বলেন, পূর্বশত্রুতা বা রাজনৈতিক বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
‘জামাই-শ্বশুরের’ দোকানে চা–পান করতে আসেন দূরের লোকজনও
কবির হোসেন (৩৬) ও তাঁর শ্বশুর সোলেমান মোল্লা (৫৫) মিলে বছর পাঁচেক আগে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান দেন। জামাতা-শ্বশুরের যৌথ অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় চলছে চায়ের দোকানটি। দুজনে মিলে প্রতিদিন গড়ে বিক্রি করেন প্রায় ৩০০ কাপ দুধ-চা। প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার টাকার চা বিক্রি হয় দোকানটিতে।
নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিদিন এখানে ‘খাঁটি দুধের চা’ পান করতে আসেন। গাভীর দুধ দিয়ে জামাতা-শ্বশুরের হাতের পরম যত্নে বানানো সুস্বাদু ওই দুধ-চা স্থানীয় লোকজনের কাছে বেশ সমাদৃত। দূর থেকেও অনেকে আসেন চা–পান করতে। স্থানীয়ভাবে এটি ‘জামাই-শ্বশুরের’ চায়ের দোকান হিসেবে পরিচিত। দোকান থেকে উপার্জিত আয় দিয়েই চলছে তাঁদের সংসার।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের কলেজগেট এলাকায় চায়ের ওই দোকানের অবস্থান। জামাতা কবির হোসেনের বাড়ি উপজেলার পৈলপাড়া গ্রামে। কবিরের শ্বশুর সোলেমান মোল্লার বাড়ি উপজেলার নবকলস গ্রামে।
সম্প্রতি এক সকালে ওই চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড়। ছোট্ট পরিসরে সাজানো টুল-টেবিলে বসে চা–পান করতে করতে আড্ডা দিচ্ছেন তাঁরা। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তর্ক চলছে সেখানে। ক্রেতাদের চা পরিবেশনায় ব্যস্ত শ্বশুর-জামাতা।
কাজের ফাঁকে কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। কবির হোসেন বলেন, তাঁর একমাত্র শ্যালক মানসিক প্রতিবন্ধী। তাঁর শ্বশুরের আর কোনো ছেলে না থাকায় তাঁকেই (কবির) ছেলে মনে করেন তিনি। তাঁর বাবা মারা গেছেন অনেক আগে। এ জন্য শ্বশুরকেই বাবার আসনে বসিয়েছেন। পাঁচ বছর আগে দুজনে মিলে ভাড়া করা এই চায়ের দোকানটি দিয়েছেন। নিজে সাতটি গাভী পালনপালন করেন। ওই গাভীর দুধ দিয়ে চা তৈরি করে বিক্রি করেন তাঁরা। তিনি ও তাঁর শ্বশুর পালা করে দোকানে বসেন এবং চা বিক্রি করেন। উপজেলা সদর ও আশপাশের এলাকা ছাড়াও চাঁদপুর জেলা শহর ও মতলব উত্তর উপজেলা থেকেও লোকজন এই দোকানে আসেন চা–পান করতে।
ক্রেতাদের হাতে দুধ-চা তুলে দিচ্ছেন কবির হোসেন।