মালদ্বীপকে হারিয়ে হামজার বাংলাদেশকে বার্তা দিয়ে রাখল ভারত
Published: 19th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে জয়ে ফিরেছে ভারত ফুটবল দল। আজ শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩–০ গোলে হারিয়েছে ভারত। এই জয়ের আগে এক বছরের বেশি সময় ভারত কোনো ম্যাচ জেতেনি।
আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ের একই মাঠে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের খেলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে ভারত। ম্যাচটি খেলার জন্য আগামীকাল ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।
ভারতের জন্য মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশ ম্যাচের প্রস্তুতির মতো। আবার এই ম্যাচ দিয়েই অবসর ভেঙে ফের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছেন সুনীল ছেত্রী। ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার জাতীয় দলে ফেরার ম্যাচে গোলও করেছেন।
ম্যাচে ভারতের প্রথম গোল করেন রাহুল ভেকে। কর্নার থেকে আসা হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ম্যাচের প্রথমার্ধে এই গোলেই এগিয়েছিল ভারত।
ভারত দ্বিতীয় গোল পায় ৬৬তম মিনিটে। এই গোলটিও আসে কর্নার থেকেই, করেন লিস্টন কোলাসো। তবে ভারতের দর্শকদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটি আসে ৭৬ মিনিটে। লিস্টনের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে পাঠান সুনীল।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটি তাঁর ৯৫তম গোল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি ও আলী দাইয়ির পর চতুর্থ সর্বোচ্চ। এর কিছুক্ষণ পরই অবশ্য সুনীলকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন কোচ। শেষ পর্যন্ত ভারত মাঠ ছাড়ে ৩–০ ব্যবধানের জয় নিয়ে।
এই ম্যাচের আগে ভারত সর্বশেষ জিতেছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কুয়েতের বিপক্ষে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।
‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।
এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।