চট্টগ্রামের মুরাদপুরে এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারস প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে মিডটাউনের একটি রেস্তরাঁয় এ ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।

এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত আরমান এবং আরমানের মা, আহত রাকিবুল, আহত জালাল, আহত সাকিবসহ আরও কয়েকজন আহত বীর।

এছাড়া এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারস এর পক্ষ থেকে কলি কায়েজ, উমামা ফাতেমা, ইদুল ফয়সাল, সাকিবুর রনি, রাকিবুল হোসেন ইসরাফ, আলি হাসনাত, তানজিলাসহ বাকি সদস্যরা। আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ারিয়র অব জুলাই, জুলাই রেকর্ডস সংগঠনটির সদস্যরা।

সামাজিক ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমী, অ্যাডভোকেট ফাহিম শরীফসহ অনেকেই।

অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেছেন কলি কায়েজ এবং সঞ্চালনা করেছেন সংগঠনটির সদস্য ইয়াছিন আরাফাত।

বক্তব্যকালে উমামা ফাতেমা বলেন, ৫ আগস্টের আগের সময়টায় আমরা যখন ভয়ংকর একটি সময় পার করছিলাম, তখন প্রতিদিনের আন্দোলনের পাশাপাশি আহতদের জন্য কাজ করার মানবিক প্রেরণা থেকে আমাদের এই প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে আমরা এখন অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। এখন সরকার চাইলে আহতদের জন্য কাজ করা সকল প্ল্যাটফর্মকে একই ছাতার নিচে আনতে পারত।

জুলাই রেকর্ড এর পক্ষ থেকে সুলাইম বলেন, এই আন্দোলনে মানুষ নিঃস্বার্থভাবে প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু এর বিনিময়ের প্রশ্নে অনেকেই নানারকম রাজনীতি করছে। এ অবস্থায় আমরা প্রকৃত গল্পগুলো তুলে আনার চেষ্টা করছি।
বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের অবহেলাগুলো দ্রুত সমাধান করা দরকার, যেন দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগকারী মানুষগুলো সুস্থ জীবন যাপনে ফিরে আসতে পারে।

আহত যোদ্ধা সায়েম বলেন, আন্দোলনে আহতদের জন্য কাজ করা সকল প্ল্যাটফর্মকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আহতরা সবাই যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, সেই লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করার অনুরোধ জানাই।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কলি কায়েজ বলেন, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আহত এবং শহীদদের পরিবারের সঙ্গে সরকারকে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে হবে। প্রত্যেক ভিকটিম পরিবারের জন্য অতি দ্রুত ন্যায়বিচার ও সম্মানজনক পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।

সংগঠনটির ঢাকা টিমের সদস্য সাকিবুর রনি বলেন, পুনর্বাসন প্রশ্নে শুধু আর্থিক সাহায্যই মুখ্য না। এখানে প্রত্যেক আহত রোগীর সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থানকে আগের মতো স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেক আহত ব্যক্তির জন্য বিশেষায়িত পরিকল্পনা নিতে হবে। 

এতে আরও বক্তব্য দেন, স্বাস্থ্য উপকমিটির পক্ষ থেকে মো.

জসিম, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবাইরুল আরিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম সমন্বয়ক রুদ্র সাইফুল, অ্যাডভোকেট ফাহিম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র প ল য টফর ম র জন য ক জ কর অন ষ ঠ সদস য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • এনসিপির জাতীয় ছাত্রশক্তির কমিটি ঘোষণা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে জাহিদ–বাকের
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫