প্রিমিয়ার লিগে খেলা ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অভিষেক হতে যাচ্ছে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। জাতীয় দলের জার্সিতে এই ডিফেন্ডারকে ঘিরে বড় স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। শুধু বাংলাদেশেরই নয়, হামজাকে সমীহ করছে ভারতের কোচিং স্টাফও।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস পেয়েছে ভারত। সেই ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ ও হামজা চৌধুরী নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানান ভারতের স্প্যানিশ কোচ মানোলো মার্কুয়েজ।
হামজার প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'হামজা একজন দুর্দান্ত ফুটবলার। যদিও এখন সে প্রিমিয়ার লিগে খেলে না, তবে নিয়মিত ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে যাচ্ছে। তার অভিজ্ঞতা দলের জন্য বড় সহায়তা হতে পারে।'
বাংলাদেশ দল নিয়েও ইতিবাচক মন্তব্য করেন ভারতের কোচ, 'বাংলাদেশ এখন ভালো ফুটবল খেলছে। তারা গত তিন-চার বছর ধরে একই কোচের অধীনে খেলছে। এ কারণেই দলটি গুছানো। আমি মনে করি, এই ম্যাচ সহজ হবে না—দুই দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং হবে।'
তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কিছুটা ধাক্কাও খেয়েছে ভারত। ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে পড়েছেন দুই উইঙ্গার লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে, মানভীর সিং এবং মিডফিল্ডার ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজ। তবে মালদ্বীপের বিপক্ষে বড় জয় কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস জোগাবে সুনীল ছেত্রীর দলকে।
এই জয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন কোচ মার্কুয়েজ, '১২ ম্যাচ আর ৪৮৯ দিন পর জয় এসেছে আমাদের ঘরে। আপনি হয়তো ভালো বা খারাপ খেলতে পারেন, কিন্তু এমন দীর্ঘ সময় পর জয় পাওয়া অনেক বেশি আনন্দের ও গুরুত্বপূর্ণ।'
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।