বরিশাল নগরীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতবিনিময় ও ইফতার শেষে হট্টগোল হয়েছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে ঘিরে একদল তরুণ ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে শ্লোগান দেয়। প্রায় ১৫ মিনিট হট্টগোল চলার পর দলীয় কর্মীদের বেষ্টনীতে তার গাড়ি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে। 

আজ বৃহস্পতিবার নগরের বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা রাতে নগরীতে বিক্ষোভ করেন। 
এনসিপি দলীয় নেতাকর্মী ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে মতবিনিময় ও ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, অনুষ্ঠান শেষে নাহিদ ইসলাম রওনা হলে বাইরে একদল তরুণ হট্টগোল শুরু করে। দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বরিশালের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। শুধুমাত্র আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রক্ষা করেন। এতে গণআন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা নাহিদ ইসলামের ঘিরে রাখেন। পরে এনসিপির কর্মী ও উপস্থিত পুলিশের প্রহরায় তিনি বরিশাল ক্লাব ত্যাগ করেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, তাদের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছিল। তারা পরিকল্পিতভাবে নাহিদ ইসলামকে অপমান করেছে। এর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা রাতে নগরের আমতলা মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প বর শ ল ন হ দ ইসল ম ইফত র ন হ দ ইসল ম অন ষ ঠ ন এনস প র র কর ম বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ