রাজধানীর পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাট এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত ও দুই যুবক আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  

জানা যায়, নিহত মো. আসিফ (১৯) ঢাকার কামরাঙ্গীর চর এলাকার মো. জহিরের ছেলে। তবে আহত দুই জনের নাম পরিচয় জান যায়নি।  

এ বিষয়ে চকবাজার থানার পরিদর্শক আবুল খায়ের বলেন, ঘটনাটি মূলত কেরানীগঞ্জ এলাকার জিঞ্জিরা ঘাট এলাকার। তারা তিনজন সেখানে ছিনতাই করতে গেলে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দেয়। এদের মধ্যে একজন জনতার হাতে ধরা পড়েন অন্য দুইজন নদীতে ঝাপ দেন। তারা সাঁতরে চকবাজার থানার সোয়ারীঘাটের চম্পাতলী ঘাট এলাকায় ওঠেন। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের গণপিটুনি দেন। 

তিনি বলেন, গণপিটুনি খাওয়া নদীর দুই পাড়ের তিন ছিনতাইকারীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মিডফোর্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁদের আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্য দুজন এখন পুলিশি প্রহরায় এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর ন হত দ ই গণপ ট ন ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ