‘মানুষ আমাকে নিয়ে হইহই করবে, এত বড় স্বপ্ন দেখার সাহস নেই’
Published: 21st, March 2025 GMT
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ডা. এজাজুল ইসলাম। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে টিভি নাটকে পা রাখেন। এরপর খ্যাতি লাভ করেন এই অভিনেতা। তার ন্যাচারাল অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের।
দর্শকদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়ালেও নিজেকে বিখ্যাত মনে করেন না এজাজুল ইসলাম। এক সাক্ষাৎকারে এমন ভাবনার কথা প্রকাশ করেন ‘তারা তিনজন’খ্যাত এই তারকা। কেন এমনটা মনে করেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
এজাজুল ইসলাম বলেন, “আমি মনে করি ‘ফেমাস’ শব্দটা অনেক বড়। ‘বিখ্যাত’ হওয়া অনেক বড় বিষয়, কাজ। আমার ধারণা, আমি ‘বিখ্যাত’ হতে পারিনি। তবে বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্ন আমার নেই।”
আরো পড়ুন:
‘প্রেম ভাই’ তৌসিফ
যুবকের কু-মন্তব্য, ব্যবস্থা নেওয়ায় ফারিয়ার ধন্যবাদ
খানিকটা ব্যাখ্যা করে এজাজুল ইসলাম বলেন, “আমি অভিনয় করে আনন্দ পাই, রোগী সুস্থ হতে দেখলে শান্তি পাই। আমাকে অনেক বড় কিছু হতে হবে, সারা দেশের মানুষ আমাকে নিয়ে হইহই করবে, এত বড় স্বপ্ন দেখার সাহস আমার নেই।”
হুমায়ূন আহমেদের অধিকাংশ নাটকে অভিনয় করেছেন এজাজুল ইসলাম। তার উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক হলো— ‘তারা তিনজন’, ‘হাবলঙের বাজারে’, ‘টি মাস্টার’, ‘জুতা বাবা’, ‘সবুজ সাথী’, ‘উড়ে যায় বকপক্ষি’, ‘ভবের হাট’ প্রমুখ।
১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন এজাজুল ইসলাম। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘আমার আছে জল’, ‘তারকাঁটা’ প্রভৃতি। ‘তারকাঁটা’ সিনেমার জন্য পার্শ্বচরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।