জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ডা. এজাজুল ইসলাম। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে টিভি নাটকে পা রাখেন। এরপর খ্যাতি লাভ করেন এই অভিনেতা। তার ন্যাচারাল অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের।

দর্শকদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়ালেও নিজেকে বিখ্যাত মনে করেন না এজাজুল ইসলাম। এক সাক্ষাৎকারে এমন ভাবনার কথা প্রকাশ করেন ‘তারা তিনজন’খ্যাত এই তারকা। কেন এমনটা মনে করেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।   

এজাজুল ইসলাম বলেন, “আমি মনে করি ‘ফেমাস’ শব্দটা অনেক বড়। ‘বিখ্যাত’ হওয়া অনেক বড় বিষয়, কাজ। আমার ধারণা, আমি ‘বিখ্যাত’ হতে পারিনি। তবে বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্ন আমার নেই।”

আরো পড়ুন:

‘প্রেম ভাই’ তৌসিফ

যুবকের কু-মন্তব্য, ব্যবস্থা নেওয়ায় ফারিয়ার ধন্যবাদ

খানিকটা ব্যাখ্যা করে এজাজুল ইসলাম বলেন, “আমি অভিনয় করে আনন্দ পাই, রোগী সুস্থ হতে দেখলে শান্তি পাই। আমাকে অনেক বড় কিছু হতে হবে, সারা দেশের মানুষ আমাকে নিয়ে হইহই করবে, এত বড় স্বপ্ন দেখার সাহস আমার নেই।”

হুমায়ূন আহমেদের অধিকাংশ নাটকে অভিনয় করেছেন এজাজুল ইসলাম। তার উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক হলো— ‘তারা তিনজন’, ‘হাবলঙের বাজারে’, ‘টি মাস্টার’, ‘জুতা বাবা’, ‘সবুজ সাথী’, ‘উড়ে যায় বকপক্ষি’, ‘ভবের হাট’ প্রমুখ।

১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন এজাজুল ইসলাম। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘আমার আছে জল’, ‘তারকাঁটা’ প্রভৃতি। ‘তারকাঁটা’ সিনেমার জন্য পার্শ্বচরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ