বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়ে গুলিতে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টি ও জাসদের ১৮১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৪৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

বুধবার রাতে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দোয়ারপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে, জেলা ছাত্রদল কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক জাকিরুল ইসলাম বগুড়া সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন।

বগুড়া সদর থানার কর্মকর্তা (তদন্ত) এ কে এম মঈন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, আওয়ামী লীগ নেতা মুঞ্জুরুল আলম মোহন, রফি নেওয়াজ খান রবিন, শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, আবু সুফিয়ান শফিক, মাফুজুল ইসলাম রাজ, সোহরাব হোসেন ছান্নু, সজীব সাহা, আল মাহিদুল ইসলাম জয়, অসীম কুমার, আসাদুর রহমান দুলু, আল রাজি জুয়েল, মাশরাফী হিরো, সাবেক বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগম, ফিরোজ আহমেদ রিজু, জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক হোসাইন শরিফ সঞ্চয়, রুমানা আজিজ রিংকি, এডোসিন তালুকদার বাবু, আনোয়ার হোসেন রানা, অ্যাডভোকেট রাজু মন্ডল, জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল লতিফ পশারী ববি, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মোবাশ্বের হোসেন স্বরাজ, কামরুল মোর্শেদ আপেল, জুলফিকার রহমান শান্ত, হাসিবুল হাসান সুরুজ, আমিন আল মেহেদী, মৌসুমী আক্তার ভাবনা, শামীমা আক্তার সুমি, নিলিমা সরকার পুনম, জামিলা বেগম, জাপা নেতা লিটন মিয়া প্রমুখ।

মামলার বাদী জাকিরুল ইসলাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে গত বছরের ৪ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে ছাত্র-জনতা মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে অন্য আসামিরা মিছিলে হামলা চালান। তারা মারপিট, পেট্রোল বোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করেন। 
এ সময় মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় অন্য মিছিলকারীরাও আহত হয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তিনি ১৬ মার্চ বগুড়া সদর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ ও সাবেক বিএনপি নেত্রীসহ ১৮১ জনের নাম উল্লেখ ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়ায় ১১টি মামলা হলো।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম উল ল খ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর বিষপান, মারা গেলেন স্বামী

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রী বিষপান করেছেন। তাদের মধ্যে রবিবার (১৫ জুন) সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্বামী মারা গেছেন। আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন স্ত্রী।

এর আগে, শনিবার রাতে উপজেলার রঘুনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আলামিন শেখ (২৮)। তার স্ত্রী সাথী খাতুন (২২)। এই দম্পতির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

এলাকাবাসী ও স্বজনেরা জানান, প্রায় ছয় বছর আগে আলামিন শেখের সঙ্গে সাথী খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলে আসছিল। সর্বশেষ স্থানীয় এক কিশোরের সঙ্গে সাথী খাতুনের পরকীয়ার অভিযোগ উঠে।

আরো পড়ুন:

ফুলকুমার নদে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু 

পঞ্চগড় সীমান্তে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

শনিবার দুপুরে এ নিয়ে পারিবারিকভাবে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর জেরে বিকেলে বিষপান করেন সাথী। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা।

স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে গিয়ে বিষপান করেন আলামিন শেখ। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাথী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এই প্রতিবেদক। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘‘আমার শাশুড়ি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে খারাপ বানিয়েছে। আমার সঙ্গে কোনো ছেলের সম্পর্ক নেই। লজ্জায় বিষ খেয়েছি।’’

তবে, পুত্রবধূর অভিযোগ নাকচ করেছেন আলামিনের মা ফাহিমা খাতুন। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি স্থানীয় এক কিশোরের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছেলের বউকে দেখতে পাই। এরপর থেকেই ছেলের সঙ্গে সাথীর ঝামেলা চলছিল।’’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান বলেন, ‘‘খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মরদেহটি বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ