লেবুর রসের সঙ্গে ঢ্যাঁড়স–পানি—শুনতেই কেমন অদ্ভুত লাগে, তাই না? পিচ্ছিল তো বটেই, অনেকের কাছে ঢ্যাঁড়স সবজিটা ভীষণ বিস্বাদ। কিন্তু লেবুর রস আর ঢ্যাঁড়স ভেজানো পানির মিশ্রণের উপকারিতা জানেন? জানলে হয়তো রোজ সকালে এটি খাওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না!

হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের অনন্য টোটকা

দ্রবণীয় আঁশে ভরপুর ঢ্যাঁড়স প্রাকৃতিক রেচকের ভূমিকা পালন করে। অন্ত্রে মলের চলাচল দ্রুত করে, মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং মল নরম করে। যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা লেবুর রসের সঙ্গে ঢ্যাঁড়স ভেজানো পানি খান প্রতিদিন সকালে। দারুণ উপকার পাবেন।

ওজন কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

ঢ্যাঁড়সে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ থাকে। বিপরীতে ক্যালরি খুবই কম। এতে পেকটিন বা প্রাকৃতিক পলিস্যাকারাইড রক্তে চিনির মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুতে থাকা হজম সহায়ক পদার্থ দেহের চর্বি ঝরাতে কার্যকর। ফলে প্রতিদিন সকালে এই দুইয়ের মিশ্রণে তৈরি পানীয় খেলে ওজন কমে। মুটিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকে মিলতে পারে মুক্তি।

ঢ্যাঁড়সে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি দেহে রোগ-জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ