সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের আলোচিত চাচা-ভাতিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-১২ সদর দপ্তরের কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) দীপঙ্কর ঘোষ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর গ্রামের সুরুজ্জামান শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫), আব্দুল মালেক সরকারের ছেলে আবু হানিফ (২৪) ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফেরদৌস শেখ (১৮)।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব এর একটি দল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে চাচা-ভাতিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

জামালপুরে ‘পাওনা টাকা’ দেওয়ার কথা বলে যুবককে নির্যাতন

এর আগে, গত ১৬ মার্চ রাতে বৈকন্ঠপুর বাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হন রিয়াজ উদ্দিন শেখ ও হৃদয় শেখ। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। এ ঘটনায় গত ১৭ মার্চ রায়গঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ২০ মার্চ বিকেলে ধানগড়া-পাঙ্গাসী সড়কের বৈকণ্ঠপুর দক্ষিণে ভেড়াদহ সেতুর নিচ থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা/রাসেল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জব্দ করা জাটকা এতিমখানায় বিতরণ, সেই মাছ লুট করলেন আড়তদারেরা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় জব্দ করা ৭০ কেজি জাটকা দুটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছিল। তবে সেই মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন আড়তদারের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত জাটকা রক্ষার অভিযানে আমিরাবাদ ও দশানী বাজার থেকে ৭০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস। পরে আমিরাবাদ এলাকায় জব্দ করা জাটকা উপজেলার হাজীপুর ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় কিছু দুস্থ মানুষকেও কিছু জাটকা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জাটকা নিয়ে ওই দুই মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কমিটির লোকজন সন্ধ্যায় আমিরাবাদের বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছান। তখন আমিরাবাদ বাজারের মাছের আড়তদার আবুল প্রধান, আরিফ গাজী, সেরু প্রধানিয়া, দেলু বেপারীসহ আরও কয়েকজন তাঁদের পথরোধ করেন এবং জাটকাগুলো লুট করে নিয়ে যান।

হাজীপুর মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও ফরাজীকান্দি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, মাছের ওই আড়তদারেরা তাঁদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে জাটকা লুট করে নিয়ে যান। বাধা দিয়েও কাজ হয়নি। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে আবুল প্রধান, আরিফ গাজী ও সেরু প্রধানিয়ার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তবে দেলু ব্যাপারী মুঠোফোনে বলেন, জাটকা লুট করা তাঁদের উচিত হয়নি। ওই জাটকা আজ (বৃহস্পতিবার) তাঁরা ফেরত দেবেন। এটি তাঁদের বড় ভুল হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জাটকা উদ্ধারে ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে।

ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জাটকা উদ্ধারে তিনি থানার ওসি ও মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতিমদের জাটকা লুট হওয়ার বিষয়টি খুব দুঃখজনক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ