কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার দুপুরে কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল বাগহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশিক খান (২২) আশিক চাতল গ্রামের আরব আলীর ছেলে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- আলী হায়দার বাবলু ও আঞ্জু মিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শী মুমুরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সাবেরী বলেন, চাতল বাগহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি প্রার্থী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আশিকুজ্জামান নজরুল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান চন্দনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আশিককে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার দু’জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুসারী। আর নিহত আশিক খান ছাত্রদল নেতা চন্দনের সমর্থক। 

হোসেনপুর-কটিয়াদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.

তোফাজ্জল হোসেন নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ ন হত কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ