রেকর্ড লভ্যাংশ দেওয়ার পরও লিনডে বাংলাদেশের শেয়ারের দরপতন
Published: 22nd, March 2025 GMT
রেকর্ড লভ্যাংশ ঘোষণার পরও গত সপ্তাহে বহুজাতিক কোম্পানি লিনডে বাংলাদেশের শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি এ সপ্তাহেই নতুন করে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ৪০ টাকা বা ৪০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৪১০ টাকা বা ৪ হাজার ১০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি।
সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের জন্য লিনডে বাংলাদেশ শেয়ারধারীদের জন্য শেয়ারপ্রতি ৪৫০ টাকা বা ৪ হাজার ৫০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা এরই মধ্যে বিতরণও করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, এক দশকের মধ্যে গত বছরই কোম্পানিটি সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দিয়েছে। তারপরও গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দরপতন ঘটেছে।
ঢাকার বাজারে গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১০২ টাকা বা প্রায় ১০ শতাংশ কমে হয়েছে ৯৪০ টাকা। এর ফলে সপ্তাহ শেষে ঢাকার শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এটি। ভালো লভ্যাংশ দেওয়ার পরও শেয়ারের এই দরপতনকে অস্বাভাবিক মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা এই দরপতনের যৌক্তিক কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় একটি ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহী বলেন, এ কোম্পানিকে নিয়ে বাজারে একধরনের গুজব রয়েছে। সেটি হচ্ছে, কোম্পানিটি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেবে। বাজারে এ ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের অনীহা তৈরি হয়ে থাকতে পারে, যার কারণে ভালো লভ্যাংশ দেওয়ার পরও শেয়ারের দরপতন হয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লিনডে বাংলাদেশকে নিয়ে এ গুজবের পেছনে বড় কারণ এরই মধ্যে কোম্পানিটি তাদের ঝালাইয়ের ব্যবসা বিক্রি করে দিয়েছে। তাই ধীরে ধীরে পুরো ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারে এমন শঙ্কা তৈরি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
গত বছরের মে মাসে কোম্পানিটি জানায়, তারা নিজেদের ওয়েল্ডিং ব্যবসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ইসাব গ্রুপের সঙ্গে শেয়ার বিক্রির চুক্তি অনুমোদন করেছে। চুক্তির আওতায় লিনডের ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার ৫০১টি শেয়ার হস্তান্তর করা হয়। শেয়ার বিক্রি থেকে কোম্পানিটি যে আয় করেছে তার বড় অংশই লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি। এ কারণে গত বছরের জন্য রেকর্ড লভ্যাংশ প্রদান করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সৌন্দর্য বাড়াতে বোটক্স করা কতটা ভালো
সৌন্দর্য ও তারুণ্য ধরে রাখতে এ দেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বোটক্স। মুখে বয়সের ছাপ কমিয়ে, মসৃণ ও প্রাণবন্ত চেহারা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই চিকিত্সাপদ্ধতি। বোটক্স শব্দটি এসেছে বটুলিনাম টক্সিন থেকে। এটি একধরনের প্রোটিন, যা ক্লস্ট্রিডিয়াম বটুলিনাম নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয়।
বোটক্স প্রয়োগ করা হয় ইনজেকশনের মাধ্যমে। এটি বলিরেখা ছাড়াও অন্যান্য সূক্ষ্ম রেখা কমাতে সাহায্য করে। যে কারণে ত্বক দেখায় আরও তরুণ। এটি একটি নন-সার্জিক্যাল কসমেটিক পদ্ধতি, যা মুখের বিভিন্ন অংশে প্রয়োগ করা হয়। এর মধ্যে আছে কপাল, চোখের চারপাশ ও ঠোঁটের আশপাশ। যদিও এটি একটি বিষাক্ত পদার্থ, কিন্তু নিয়ন্ত্রিত ও সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা হলে এটি নিরাপদ ও উপকারী।
বোটক্স যেভাবে কাজ করেআমাদের মুখের বিভিন্ন অভিব্যক্তি, যেমন হাসি, রাগ বা চিন্তার ফলে মাসল সংকোচন হয়। বারবার এ সংকোচনের ফলে ত্বকে ভাঁজ বা বলিরেখা পড়ে। বোটক্স ইনজেকশন মাংসপেশির ওই সংকোচনপ্রক্রিয়াকে সাময়িকভাবে শিথিল করে দেয়। এটি স্নায়ু ও মাসলের সংযোগস্থলে অ্যাসিটাইলকোলিন নামে একধরনের রিসিপ্টরকে ব্লক করে, ফলে স্নায়ু থেকে মাসলে সংকোচনের সংকেত পৌঁছায় না। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মাসল শিথিল থাকে আর ওই জায়গার বলিরেখা কমে যায় বা সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়। ত্বক দেখায় মসৃণ।
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বোটক্সকপালে বলিরেখা দূর করে।
চোখের পাশের কুঁচকে যাওয়া বা ক্রস ফিট কমায়।
ভ্রুর মাঝের ভাঁজ কমায়।
ঠোঁটের পাশের রেখা ও চোয়ালের অংশকে সুগঠিত করে।
কিছু ক্ষেত্রে ঘাম কমাতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঅ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি কি খুব ব্যয়বহুল?২১ আগস্ট ২০২৪চিকিত্সায় ব্যবহারবোটক্স দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেন কমাতে সাহায্য করে।
চোখের পাতা ঝুলে যাওয়া বা চোখের পাতার খিঁচুনি কমাতে বোটক্স ব্যবহার করা হয়।
এ ছাড়া প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা, অতিরিক্ত লালা ঝরার মতো অসুখেও বোটক্স ব্যবহার করা হয়।
প্রভাব ও স্থায়িত্ববোটক্স প্রয়োগের প্রভাব সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে দেখা যায়। এটি তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরপর আবার প্রয়োগ করার প্রয়োজন হতে পারে।
সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বোটক্স নিরাপদ, তবু এটি প্রয়োগের পর কিছু সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন হালকা ব্যথা, ফোলা ভাব, মাথাব্যথা বা ইনজেকশনের স্থানে অস্বস্তি। তাই অবশ্যই এটি প্রশিক্ষিত চিকিত্সকের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে করা উচিত।
বয়সের ছাপ লুকিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে বা সৌন্দর্য বাড়াতে বিশ্বজুড়ে বোটক্স এখন একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর উপায়। তবে মনে রাখা উচিত, সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক নয়, আত্মবিশ্বাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান।
আরও পড়ুনডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, ওজন ও ইউরিক অ্যাসিড কমানোসহ কত গুণ চিচিঙ্গার ২২ ঘণ্টা আগে