যারা স্বপ্ন দেখেন দুনিয়া জয়ের এবং প্রতিনিয়ত মন থেকে অনুপ্রাণিত হন নতুন কিছু করার; তারা জানেন, থেমে নেই তারুণ্যের জয়গান। ঈদকে সামনে রেখে তরুণরা নানা উদ্যোগ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূল থেকে আপনাদের পাঠানো অসংখ্য উদ্যোগ থেকে তিনটি আলোজ্বলা উদ্যোগ নিয়ে এই আয়োজন...
নদীপারের স্কুলপড়ুয়া সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও তাদের পরিবারের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার কাটাখাল ও জানখালী এলাকার জেলেপল্লির ১০০ পরিবারের মাঝে ঈদউপহার হিসেবে সেমাই, চিনি, দুধ, নুডলস, ট্যাং, বাদাম, কিশমিশ, মুড়ি, চিড়া বিতরণ করে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রুবেল মিয়া নাহিদ বলেন, ‘সমাজের অবহেলিত সুবিধাবঞ্চিত এ শিশুদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ ও তাদের মুখে ঈদের আনন্দে হাসি দেখতে পাওয়াটা আমার কাছে মানসিক প্রশান্তির।’ দারিদ্র্য এ জনগোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত, যার ফলে সামাজিকভাবে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সমাজের অন্যদের সঙ্গে বৈষম্য দূরীকরণে তাদের জন্য কাজ করছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। পিছিয়ে পড়া এই জেলে জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছে সংগঠনটি।
২০১৮ সালের ১৭ মার্চ হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের যাত্রা। শুরুর পর থেকে বিভিন্নভাবে জেলে জনগোষ্ঠীর শিশুদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। সামাজিক ব্যাধি বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং প্রতিরোধেও নিয়মিত কাজ করেন এ সংগঠনের সদস্যরা। সরকারি টোল ফ্রি নম্বর ৯৯৯, ১০৯-এর সুবিধাগুলোর তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাস্তার পাশে জেলেদের বাড়ির আঙিনা ও বিভিন্ন স্থানে তারা করে যাচ্ছেন বৃক্ষরোপণ। যাদের নিরলস পরিশ্রমে এগিয়ে যাচ্ছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এইচআরসিবিএম
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা এক গভীর সংকটে রূপ নিয়েছে বলে মনে করে হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম)। সংগঠনটির হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৯০ জন সংখ্যালঘু নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে হত্যার শিকার হয়েছেন, আবার অনেকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরসিবিএম।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলন করে এইচআরসিবিএম এ কথা বলেছে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইচআরসিবিএম বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক লাকী বাছাড় এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লাকী বাছাড়। তাতে তিনি বলেন, ২০২৫ সাল বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সংখ্যালঘুরা হামলা, লুটপাট, মব সহিংসতার শিকার হয়েছেন। তাঁদের বাড়িঘর পোড়ানো হয়েছে, নারী নির্যাতন হয়েছে, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভূমি দখল হয়েছে। হত্যা, মিথ্যা মামলা, উচ্ছেদের শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘুরা। এসব অপরাধে জড়িতদের বিচার হয়নি সেভাবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা উদ্বেগ তৈরি করছে।
এইচআরসিবিএমের তথ্যমতে, শুধু ডিসেম্বর মাসের প্রথম ৯ দিনে দেশে ৯ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৯০ জন সংখ্যালঘু নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বা রহস্যজনকভাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
সংগঠনটি জানায়, তারা গত এক বছর বিভিন্ন সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনায় জরুরি মনিটরিং সেল সক্রিয় করেছে। মাঠপর্যায়ে তথ্য যাচাই ও স্বাধীন প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছে।