তাঁর নাম মালেক ইবনে দিনার। থাকতেন একটি ভাড়া বাসায়। তাঁর প্রতিবেশী ছিল এক ইহুদি। মালেকের ঘরের সামনেই তাঁর ঘর। সেই ঘরের সামনে শৌচাগার তৈরি করেছিল ইহুদিটি। সে নোংরা এনে ফেলত মালেক ইবনে দিনারের দরজায়। দুর্গন্ধে সেখানে বাস করা কষ্টকর হয়ে ওঠে।
এভাবে অনেক দিন চলল।
মালেক ইবনে দিনার কারও কাছে অন্যায়ের বিচার না চেয়ে নীরবে সহ্য করে যান। একদিন প্রতিবেশী নিজেই মালেক ইবনে দিনারের কাছে এসে বলল, ‘মালেক, আমার নোংরার জন্য আপনার কষ্ট হয় না?’
তিনি উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, হয়। প্রতিদিন পরিষ্কার করি, ধুয়ে ফেলি।’
আরও পড়ুনজালালুদ্দিন রুমির ‘মসনভি’তে কোরআনের মর্মবাণী২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইহুদি বলল, ‘কোনো রাগ বা ক্ষোভ দেখান না যে?’
মালেক বললেন, ‘আল্লাহর জন্য। তিনি রাগ দমনকারীকে ভালোবাসেন।’
ইহুদি বিস্মিত হয়ে বলে, ‘ইসলাম এত চমৎকার! প্রেমিক তার স্রষ্টার খুশির জন্য শত্রুর অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করে তবু শত্রুকে রাগের বশে কোনো আঘাত-আক্রমণ না করে ধৈর্য ধরে! এবং স্রষ্টা ছাড়া কারও কাছে তা বলে না!’
ইহুদি তখনই মালেক ইবনে দিনারের কাছে ক্ষমা চান এবং ইসলাম গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনসুলায়মান (আ.) ও হুদহুদ পাখির গল্প২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ল ক ইবন
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।