তাঁর নাম মালেক ইবনে দিনার। থাকতেন একটি ভাড়া বাসায়। তাঁর প্রতিবেশী ছিল এক ইহুদি। মালেকের ঘরের সামনেই তাঁর ঘর। সেই ঘরের সামনে শৌচাগার তৈরি করেছিল ইহুদিটি। সে নোংরা এনে ফেলত মালেক ইবনে দিনারের দরজায়। দুর্গন্ধে সেখানে বাস করা কষ্টকর হয়ে ওঠে।
এভাবে অনেক দিন চলল।
মালেক ইবনে দিনার কারও কাছে অন্যায়ের বিচার না চেয়ে নীরবে সহ্য করে যান। একদিন প্রতিবেশী নিজেই মালেক ইবনে দিনারের কাছে এসে বলল, ‘মালেক, আমার নোংরার জন্য আপনার কষ্ট হয় না?’
তিনি উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, হয়। প্রতিদিন পরিষ্কার করি, ধুয়ে ফেলি।’
আরও পড়ুনজালালুদ্দিন রুমির ‘মসনভি’তে কোরআনের মর্মবাণী২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইহুদি বলল, ‘কোনো রাগ বা ক্ষোভ দেখান না যে?’
মালেক বললেন, ‘আল্লাহর জন্য। তিনি রাগ দমনকারীকে ভালোবাসেন।’
ইহুদি বিস্মিত হয়ে বলে, ‘ইসলাম এত চমৎকার! প্রেমিক তার স্রষ্টার খুশির জন্য শত্রুর অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করে তবু শত্রুকে রাগের বশে কোনো আঘাত-আক্রমণ না করে ধৈর্য ধরে! এবং স্রষ্টা ছাড়া কারও কাছে তা বলে না!’
ইহুদি তখনই মালেক ইবনে দিনারের কাছে ক্ষমা চান এবং ইসলাম গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনসুলায়মান (আ.) ও হুদহুদ পাখির গল্প২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ল ক ইবন
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে: নেতানিয়াহু
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার আশঙ্কার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’।
তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে’।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি।
ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।
সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।
ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’