Prothomalo:
2025-08-01@09:09:52 GMT

এসির দরদাম

Published: 23rd, March 2025 GMT

ঘনিয়ে আসছে গ্রীষ্মকাল, বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে বাজারে বাড়ছে এসির চাহিদাও। কিন্তু এসি তো আর যখন-তখন কিনে ফেলা সম্ভব নয়। কেনার আগে যাচাই–বাছাই করতে হয়, মানের সঙ্গে দাম মেলাতে হয়। একটা সময় এসিকে বিলাস পণ্য হিসেবে বিবেচনা করতেন অনেকে। তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তাতে এসিকে বিলাস পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। শহর থেকে শুরু করে মফস্​সল, সব জায়গাতেই এসি কেনার প্রবণতা বাড়ছে। 

বাসাবাড়িতে ব্যবহার করার জন্য রুমের আকার অনুযায়ী সঠিক ক্ষমতার এসি কেনা জরুরি। ভুল ক্ষমতার এসি কিনলে শুধু বিদ্যুৎ বিলই বাড়বে না, কমে আসবে এসির কার্যক্ষমতাও। সাধারণত ১০০ থেকে ১২০ বর্গফুট জায়গার জন্য ১ টন এসির প্রয়োজন হয়। সক্ষমতা অনুযায়ী বাজারে এখন ১ টন থেকে শুরু করে ৫ টন পর্যন্ত এসি পাওয়া যায়। নুরুল আফসার আরও জানান, ইলেক্ট্রোমার্টের প্রায় ৬০টি মডেলের এসি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সক্ষমতা অনুযায়ী ৫২ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এসিগুলো। 

অন্যদিকে ক্রেতাদের জন্য এসি কেনা সহজ করেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। তাদের ওয়েবসাইটে গেলে খুঁজে নিতে পারবেন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এসি। রুমের আয়তন, ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং সূর্যের আলো কতটুকু পড়ে, সে অনুযায়ী কোন এসি ভালো হবে; তা বলে দেবে তারাই। বর্তমানে ওয়ালটনের বিভিন্ন সিরিজের ১ ও ২ টন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।

অন্য দেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ভিশন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৪৬ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭৪ হাজার টাকায়। যমুনা ব্র্যান্ডের এসির মূল্য শুরু ৪৫ হাজার টাকা থেকে। ১ টন থেকে শুরু করে ৪ টন এসি পাওয়া যাচ্ছে মিনিস্টার শোরুমে। ৫০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকার এসি আছে তাদের সংগ্রহে। 

তবে ক্রেতাদের মধ্যে বিদেশি এসির মোহ এখনো বিদ্যমান। ক্রেতাদের মধ্যে গ্রি ও জেনারেল এসির জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। দামের দিক থেকেও দেশিদের টেক্কা দিচ্ছে তারা। বাজারে ৪৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ ১০ টাকার গ্রী এসি পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে ৪৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার জেনারেল এসি পাওয়া যায় বাজারে। ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় মিডিয়া এসি, ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে হাইয়ার কোম্পানির এসি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন য য় ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।

‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।

এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ