সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি হাই স্কুল এন্ড কলেজের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা, বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিদায় সংবর্ধনা, বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

জালকুড়ি হাই স্কুল এন্ড কলেজের আজীবন দাতা সদস্য জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখছেন জালকুড়ি হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, জীবনটাকে হেলায় নষ্ট করোনা। জীবনটাকে গঠন করার দায়ীত্ব তোমাকেই নিতে হবে। কারন জীবনটা তোমার, সুতরাং বিপথে পা বাড়ীয়ে কখনো নিজেকে খারাপ পথে নিও না।

শিক্ষা আমাদের জীবনে প্রয়োজন কিন্তু কোনটা, সেটা হচ্ছে সু-শিক্ষা, সাধারণ শিক্ষা আমরা নিতে চাই না। আমরা যে শিক্ষা গ্রহন করব সু-শিক্ষাটা গ্রহন করব।

যে শিক্ষায় আদর্শ থাকবে, যে শিক্ষায় ন্যায়নিতি থাকবে, যে শিক্ষার মধ্যে গুরুজণদের সম্মান থাকবে। তাই সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো মানুষ হও।

জালকুড়ি হাই স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অভিভাবক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম প্রধন, অভিভাবক সদস্য খসরুল আলম, মোবারক হোসেন, মনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য ফাতেহা খান প্রমূখ। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ