Samakal:
2025-06-15@23:49:05 GMT

তিন সড়কে ডাকাত আতঙ্ক

Published: 23rd, March 2025 GMT

তিন সড়কে ডাকাত আতঙ্ক

‘বড়ইবাড়ী-ভাওয়াল-মির্জাপুর আঞ্চলিক সড়কে সন্ধ্যার পর আমরা ডাকাতের ভয়ে যাত্রী নিয়ে যাই না। এ সড়কের হাটুরিয়া চালার প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটারের দুপাশে গভীর জঙ্গল। রাতে সেখানে ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান নেয়। সুযোগ বুঝে সড়কে যাতায়াতকারী লোকজনের ওপর হামলা করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সব লুটে নেয় তারা।’ কথাগুলো গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার অটোরিকশাচালক আব্দুল কদ্দুসের।
উপজেলার তিন আঞ্চলিক সড়কে দুই মাসে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ডাকাত দলের সদস্যরা পথচারী, যানবাহনের চালক এবং অটোরিকশার যাত্রীদের ওপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করছে। তাদের টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী লুটে নিচ্ছে। সরেজমিন পথচারী, যানবাহনের চালক ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিন সড়কে প্রতিদিনই কোনো না কোনো নির্জন স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। কাউকে কুপিয়ে জখম করে, কারও হাত-পা বেঁধে জঙ্গলে ফেলে সবকিছু লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।
সড়ক তিনটির মধ্যে বড়ইবাড়ী-ভাওয়াল-মির্জাপুর আঞ্চলিক সড়ক ও কালামপুর চার রাস্তা হয়ে চন্দ্রা-সাহেবাবাদ এবং কালিয়াকৈর-সিনাবহ আঞ্চলিক সড়কে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এ কারণে সন্ধ্যার পর সড়কটিতে ছোট ছোট যানবাহনের চালকরা যেতে রাজি হন না। ২০ মার্চ রাতে গাবচালা গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী মো.

সজিব হোসেন আরেকজনসহ হাটুরিয়াচালা গ্রামের দিকে যাওয়ার পথে ডাকাতির কবলে পড়েন। এ সময় ১০-১৫ জন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে রয়েল হোসেন নামে একজন পালিয়ে রক্ষা পান। আর সজিবকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। 
খবর পেয়ে হাটুরিয়াচালার গ্রামের বাসিন্দারা দু’জনকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। গ্রেপ্তার দু’জন হলেন বগুড়ার শেরপুর থানার হাটগাড়ী গ্রামের সোহেল রানা ও দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের মিজানুর রহমান। তারা কালিয়াকৈরে ভাড়া বাসায় থেকে দিনে পোশাক কারখানায় চাকরি এবং রাতে ডাকাতিতে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এসব ডাকাতির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।
সজিবের সংসারে স্ত্রী শারমিন বেগম ছাড়াও  পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া সোয়াদ ও নার্সারিপড়ুয়া ছেলে দিদার হোসেন রয়েছে। শারমিন বলেন, ‘আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।’ আর সজিবের বাবা মুক্তার আলী ছেলে হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
২০ মার্চ একই স্থানে ডাকাতের হামলায় আহত হন আলম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি জামালপুর বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে হাটুরিয়াচালার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলাম। পথে ১০-১২ জন গতিরোধ করে। চিনে ফেলায় তারা গাছ কাটার করাত দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। দৌড়ে তাদের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পাই।’
এক মাসে ২০ থেকে ২২টি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি দোয়ানীচালা গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের। তিনি বলেন, সড়কের উত্তর পাশে গলাচিপার বিশাল গজারি বন থাকায় ডাকাত কিংবা ছিনতাইকারীরা নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে এসব অপকর্ম করতে সাহস পায়। এ সড়কে পুলিশের টহল নেই বলেই চলে।’
কালামপুর আঞ্চলিক সড়কে এক পথচারী জানান, কয়েকদিন আগে সাহেবাবাদ ও সিনাবহ সড়কের নির্জন স্থানে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অনেককে বেঁধে রেখে টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করেছে। কয়েকজনকে মারধর করে। ১৮ মার্চ এ সড়কে ডাকাত সদস্যরা চালকের হাত-পা বেঁধে তাঁর অটোরিকশা নিয়ে যায়।
দুই মাসে দুই সড়কে ডাকাতি বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্তা সামছুর রহমান। তাঁর ভাষ্য, এখানে পুলিশ রাত ১০টার পর আর দেখা যায় না। সারা রাত টহল থাকলে হয়তো ডাকাতির সাহস পাবে না দুর্বৃত্তরা। ১৮ মার্চ কালামপুর চাররাস্তার আশপাশে গণডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল কাশেম মণ্ডল থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
প্রতিটি নাগরিককে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের উল্লেখ করে দুদকের সাবেক আইনজীবী মোজাম্মেল হক বলেন, সড়কে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়, সেগুলো সঠিক তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হলে আর কোনো অপরাধ সংঘটিত হবে না। ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বেড়ে গেলে রাতে পুলিশের টহল বাড়ানো জরুরি।
সম্প্রতি সড়কে ডাকাতি বেড়েছে স্বীকার করে শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকেও অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সামনে ঈদ থাকায় ছিনতাই-ডাকাতি বেড়েছে। যেসব এলাকায় এসব ঘটনা ঘটছে, সেখানে রাতে পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ক ত র ঘটন ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার ৮ বছরেও নিজস্ব ভবন পায়নি ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড 

ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর এবং জামালপুর চার জেলা নিয়ে ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পার হলেও শিক্ষা বোর্ডটি এখনও পায়নি নিজস্ব ভবন। বর্তমানে নগরীর কাঠগোলায় পৃথক দু’টি ভাড়া ভবনে চলছে শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম। শিক্ষা উপকরণ রাখার জন্য আরও তিনিটি আলাদা ভবন ভাড়া নেয়া হলেও এগুলোর অবস্থাও নাজুক। 

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভবন ১ ও ২ এর মধ্যবর্তী দূরত্ব দুই কিলোমিটার। আবার গোডাউন গুলোর অবস্থানও নগরীর ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। এতে দুই অফিস ও গোডাউনগুলোতে কাজ করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের। 

তাছাড়া জনবল সংকটেও ধুকছে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। এখন পর্যন্ত স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটির নির্দিষ্ট কোনো অর্গানোগ্রাম নেই। ১২২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি চলছে মাত্র ২২ জন কর্মকর্তা ও ১৯ জন কর্মচারী দিয়ে। স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে চার জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে খেতে হচ্ছে তাদের। 

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের কাঠগোলা বাজারে অবস্থিত ভবন ১ এ কার্যক্রম চলে চেয়ারম্যান, সচিব, হিসাব ও আই টি শাখার। এই ভবনের নিচ তলায় গাদাগাদি করে থাকেন আনসার সদস্যরা। আর ভবন ২ এ আছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, স্কুল কলেজ পরিদর্শন শাখা। 

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দুটি মূল ভবন ও তিনটি গোডাউন বাবদ প্রতিমাসে ৭ লাখ টাকা ভাড়া গুনতে হয়। শিক্ষা বোর্ডে নিজস্ব ভবন থাকলে বছরে কোটি টাকা ভাড়া বেঁচে যেত সরকারের। 

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. শহিদুল্লাহ যোগদান করেছেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে। তিনি সমকালকে জানান, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ভবন তৈরির জন্য চারটি জমি প্রাথমিকভাবে দেখা হয়েছে। এরমধ্যে রহমতপুর বাইপাস এলাকায় ১.৯৫ একরের একটি জমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ময়মনসিংহের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে ভিজিট করা হয়েছে। 

পরে প্রতি ফ্লোরে ১০ হাজার স্কয়ার ফিটের ১০ তলা ভবনের চাহিদা দিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আট বছরে কেন নিজস্ব ভবন হয়নি শিক্ষা বোর্ডের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি এ বছরই বোর্ডে যোগদান করেছি। আগে জমি কেনা ও  ভবনের কাজ কেন হয়নি তা আগের চেয়ারম্যানরা বলতে পারবেন। 

সরেজমিন দেখা যায়, ভবনে ১ ও ২ এ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা পরীক্ষার খাতা ও আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র নিতে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা এই ভবন থেকে ওই ভবনে বারবার যাতায়াত করছেন। দুই ভবনের দূরত্ব ২ কিলোমিটার এবং গোডাউন গুলো আরও দূরত্বে অবস্থিত হওয়ায় এগুলো সংগ্রহ করতে তাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। 

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, দুই ভবন ও গোডাউনে দৌড়ঝাঁপ করে তাদের কাজের গতি কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থায়ী বিল্ডিং জরুরী হয়ে পড়েছে। এছাড়া তাদেরকে অফিসের কাজ সামলে বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে হয়। 

এসব সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন অরাজক পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর ড. দিদারুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ভিন্ন ভিন্ন ভবনে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছেন তারা।

জানা যায়, প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে আইটি শাখার কাজ স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে করতে পারছে না ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। এক্ষেত্রে ফলাফল তৈরি ও রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের সহায়তা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। 

বোর্ড চেয়ারম্যান আরও জানান, আমরা চেয়েছিলাম এই পরিস্থিতিতে মূল দুটি ভবনকে একীভূত করতে। ভবন এক ছেড়ে দিয়ে ভবন ২ এর কাছাকাছি একটি বাড়ি ভাড়া নিতে পারলে বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ও সেবা গ্রহীতাদের অনেকটা হয়রানি মুক্ত করা যেত। কিন্তু এক্ষেত্রে এক নম্বর ভবনের থাকা আইটি শাখাকে ট্রান্সফার করে নতুন ভবনে নিয়ে যেতে অনেক টাকা খরচ হবে। এতে সরকার ব্যাপক পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এই চিন্তা করে নতুন কোন বাড়িভাড়াও নিতে পারছি না। 

জানা যায়, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে সরকারিভাবে বরাদ্দ একটিমাত্র গাড়ি বোর্ড চেয়ারম্যান ব্যবহার করছেন। বৃহৎ পরিসরে পরিচালিত শিক্ষা বোর্ডের জন্য আরও দুইটি গাড়ি সরকারের কাছে চাওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ময়মনসিংহ থেকে কর্মকর্তারা নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর গেলে ভাড়া করা গাড়িতে তাদের যেতে হয়। 

তাছাড়া একটি ভবন থেকে আরেকটি ভবনে কর্মকর্তাদের যাতায়াতের জন্য পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। 

নিজস্ব ভবন ও পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে সমকালের সাথে কথা হয় বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর সৈয়দ আখতারুজ্জামানের সাথে। তিনি জানান, ইতিপূর্বে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষা বোর্ডকে ৩ একর জায়গা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সাবেক বোর্ড চেয়ারম্যান অতিরিক্ত অহংকার করে এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বর্তমানে জমি কিনে নিজস্ব ভবন তৈরি করার মত পর্যাপ্ত টাকা বোর্ডের হাতে নেই। 

তবে বর্তমান চেয়ারম্যান নিজস্ব জমি ও ভবন তৈরি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সরকারের কাছে প্রকল্পের মাধ্যমে জমি কিনে ভবন তৈরি করে দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত সময়ের ভিতরেই নিজস্ব ভবনে শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম চালাতে পারব বলে আশা করছি। 

চলতি বছরের ১৫ মার্চ ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের জমি কেনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সাইট ভিজিটে যান ময়মনসিংহ শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তিনি জানান, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। নগরের বাইপাস মোড়ে ১.৯৫ একর জমি কেনার জন্য তারা আমাদেরকে চিঠি দেয়। সে অনুযায়ী জমি পরিদর্শন করে ২৩ মার্চ প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আমি একটি রিপোর্ট পাঠাই। 

এখন শিক্ষা প্রকৌশল এবং ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেই জমি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ