সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন ১৫১ জন
Published: 24th, March 2025 GMT
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫১ জন। সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় কর্তৃক ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে নন-ক্যাডার পদে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণবিহীন) নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণি হিসেবে বেতন স্কেল- ২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-১২ (টাকা ১১,৩০০-২৭,৩০০/)–তে বেতন পাবেন। সুপারিশকৃতরা উপজেলা/থানা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
আজ সোমবারের (২৪ মার্চ) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত প্রযোজ্য হবে। এগুলো হলো—
ক.
খ. শিক্ষানবিশকালে অযোগ্য বিবেচিত হলে কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাঁদের চাকরি হতে অপসারণ করা যাবে
গ. শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনক বিবেচিত হলে বিধি মোতাবেক চাকরিতে স্থায়ী করা হবে
ঘ. চাকরিতে তাঁদের জ্যেষ্ঠতা বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয় কর্তৃক সুপারিশকৃত মেধা তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে;
ঙ. তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে অথবা বিবাহের অঙ্গীকারবদ্ধ হলে এ নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে;
চ. সরকারের প্রচলিত বিধি বিধান, আদেশ এবং সরকার কর্তৃক ভবিষ্যতে প্রণীতব্য বিধি বিধান/আদেশ দ্বারা তাঁর চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে;
আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মিলবে হাতখরচের অর্থ২৩ মার্চ ২০২৫ছ. এ চাকরিতে যোগদানের জন্য তিনি কোন ভ্রমণ ভাতা/দৈনিক ভাতা প্রাপ্য হবেন না;
জ. প্রশিক্ষণবিহীন প্রার্থীদের নিয়োগ আদেশ প্রাপ্তির পরবর্তী ৪ (চার) বছরের মধ্যে ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণ (বিটিপিটি)’ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে;
ঝ. নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক/শিক্ষিকা কর্তৃক সরবরাহকৃত যে কোন তথ্য ও সনদপত্র মিথ্যা/ভুয়া/ত্রুটিপূর্ণ হলে নিয়োগ আদেশ বাতিল করা যাবে এবং প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী তাঁর/তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;
ঞ. শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না, করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;
আরও পড়ুনপেছাল গণিত পরীক্ষা, এসএসসি-২০২৫-এর নতুন রুটিন প্রকাশ১৯ মার্চ ২০২৫ট. নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় নিয়োগ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে;
ঠ. প্রত্যেক প্রার্থী সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর যোগদান পত্র দাখিল করবেন। উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার যোগদানপত্র গ্রহণপূর্বক একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করবেন। বর্ণিত প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করে তিনি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে যোগদান করবেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার বরাবর যোগদানের তারিখই শিক্ষকের চাকরিতে যোগদানের তারিখ হিসেবে গণ্য হবে;
ড. নিয়োগকৃত শিক্ষকের বেতন ভাতাদি কোড ১২৪০২০৯০০০০০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ খাত হতে মিটানো হবে।
*বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক
আরও পড়ুনবেসরকারি মেডিকেলে শূন্য আসনের তালিকা প্রকাশ, ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি২৯ আগস্ট ২০২৩উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ কর ত কর ত ক করব ন সরক র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদযাত্রা খারাপ হয়নি : ফাওজুল কবির
ঈদুল ফিতরের মতো স্বস্তির না হলেও ঈদুল আজহার ঈদযাত্রা খুব খারাপ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, রেলপথ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রবিবার (১৫ জুন) টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ঈদের আগে দুদিন ছুটি ছিল। সময় কম ছিল। তাই ঈদের আগে সড়কে চাপ ছিল। যাওয়ার সময় যানজটটা বেশি হয়েছে। রমজানের মতো স্বস্তির না হলেও খুব খারাপ যাত্রা হয়নি। যারা বেশি ভাড়া আদায় করেছে, তাদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের দেওয়া হয়েছে।’’
ট্রেন অনটাইম ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কমলাপুর রেল স্টেশনেও সবাই খুব খুশি ছিল। এত দূর পথের যাত্রা ম্যানেজ করা একটা চ্যালেঞ্জ। ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হওয়ায় রাস্তায় কিছু সমস্যা হয়েছে। আমরা ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলতে দেব না।’’
গ্রামে অতিরিক্ত লোডশেডিং নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এখন গ্রামে ঘরে ঘরে এসি-ফ্রিজ চলে। গ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। ফলে প্যাটার্ন বদলেছে। এটার ফলে কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে।’’
ছুটিতে ১২-১৩ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গ্রামে বিদ্যুৎ পায়নি এটা ভুল কথা। গরমে বিদ্যুতের প্রস্তুতি আমাদের আছে। চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনে তেলে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাব।’’
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু জায়গায় লোড শেডিং হয়েছে। ফেসবুকে একজন পোস্ট দিছে, গ্রামের দিকে নজর দেয় না। আমার সেটি নজরে আসে। মূলত গ্রামে এবার চাহিদা অনেক।’’
তিনি বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ সরবরাহ ও তারের সংযোগসহ যেসব ক্ষেত্রে যতটুকু করার আছে, আমরা তা করেছি। আমাদের সচিবরা যতটুকু জানতে পারছে, আমরা করেছি। আমরা চেষ্টা করবো, সচেষ্ট থাকবো। আমাদের প্রস্তুতি আছে। এখনো ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এটা ১৮ হাজার মেগাওয়াট করা গেলে সমস্যা থাকবে না। এ জন্য ব্যয়বহুল তেলের মেশিনগুলোও চালাতে হবে।’’
ঢাকা/হাসান/টিপু