Samakal:
2025-06-16@08:29:13 GMT

বৈশাখের উৎসবে রঙ বাংলাদেশ

Published: 24th, March 2025 GMT

বৈশাখের উৎসবে রঙ বাংলাদেশ

বৈশাখের উৎসবে রঙ বাংলাদেশ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ এই ধ্বনিতে আসি আসি করছে বাংলা নববর্ষ। প্রতিটি বাঙালির কাছে পয়লা বৈশাখ যেন নিজস্ব সংস্কৃতির আবহে নবনব রূপে নিজেদের নবায়ন করে নেওয়া। পয়লা বৈশাখ এলেই ধর্মবর্ণ ছোটবড় নির্বিশেষে সকলেই যেন নিজেদের গায়ে মেখে নিতে চায় উৎসবের রঙ।

পহেলা বৈশাখ এলেই ধর্মবর্ণ ছোটবড় নির্বিশেষে সকলেই যেন নিজেদের গায়ে মেখে নিতে চায় উৎসবের রঙ। আর এই উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় অনেক আগে থেকে। সেই ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে নেই দেশের অন্যতম ও প্রশংসিত ফ্যাশন হাউস ‘রঙ বাংলাদেশ’ও। দেশের পোশাকে দেশের উৎসব আপ্তবাক্যে বিশ্বাসী এই প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই নববর্ষের পোশাকের শেষ করেছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

সকল উৎসবে থিমভিত্তিক সামগ্রী তৈরীর ভাবনার পথপ্রদর্শক রঙ বাংলাদেশ-এর কর্ণধার সৌমিক দাস জানান - বাঙালির এই অন্যতম উৎসবের আবহকে তুলে ধরতে আমরা এই বৈশাখের ডিজাইনে দুটি বিশেষ থিম নিয়ে কাজ করেছি। একটি হলো ‘কাঠের পুতুল’। কাঠের পুতুল বাঙালির লোকশিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অনন্য নিদর্শন হিসেবে সমাদৃত। সাধারণত হাতে তৈরি করা পুতুলের দেহজুড়ে থাকে নিখুঁতভাবে খোদাই করা দারুণ ডিজাইন ও তার সাথে নানারকম উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার। আর সেইসব অতুলনীয় নকশা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি হয়েছে রঙ বাংলাদেশের এবারের নববর্ষের পোশাক। 
এ ছাড়া ব্যাপক বৈচিত্রের কথা মাথায় রেখে ‘কাঠের পুতুল’এর নকশার সাথে ‘মুখোশ’ এর থিমকেও   ডিজাইনে নিয়ে এসেছি আমরা। দেশজুড়ে বৈশাখের শোভাযাত্রায় জায়গা করে নেওয়া মুখোশ বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতীকী এসব মুখোশে বাঘ, পাখি, মাছ, সূর্য, এবং গ্রামীণ জীবনের নানান নকশা ফুটে ওঠে। মুখোশের থিম পোশাকের নকশায় নিয়ে আসার কারণে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে সৌমিক দাস তার প্রত্যয়ের কথা ব্যক্ত করেন। 


এইসব নকশায় সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট হিসেবে তাদের থাকছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, স্ট্রিচ ড্রেস, ফ্রক ইত্যাদি। আর বৈশাখের উৎসবকে রাঙাতে তাদের সকল পণ্যে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছ লাল, মেরুন ও সাদার সাথে বিভিন্ন হাল্কা অথচ উজ্জ্বল রঙের নানারকম শেড। গরমের কথা বিবেচনায় রেখে কাপড়ে আরামের বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে। পোশাকের সাথে মিলিয়ে রঙ বাংলাদেশ কাজ করেছে জুয়েলারি নিয়েও। পাওয়া যাবে বৈশাখ উপযোগী বিভিন্ন রকম হাতের চুড়ি, মালা, কানের দুল, লকেট, চুলের ব্যান্ড ইত্যাদি। ডাই ও প্রিন্ট কাপড়, সুতা, পুথি, কড়ি, কাপড়ের বল এর কম্বিনেশনে এই জুয়েলারিগুলো তৈরি করা হয়েছে এবং আনুষাঙ্গিক মোটিভ ছাড়াও মুখোশ মোটিভ দিয়েও তৈরি করা হয়েছে এই জুয়েলারিগুলো।
রঙ বাংলাদেশ এর ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন আউটগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে  নববর্ষের পণ্য।  চাইলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেও নববর্ষ উৎসবের পণ্য কিনতে পারেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নববর ষ উৎসব র র উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’