যেটুকু দুশ্চিন্তার ভাঁজ তাঁর কপালে ছিল, তা মুছে গেছে উরুগুয়ের বিপক্ষে জয়ের পরই। মেসি- লাওতারোর জায়গায় গোল করবে কে? স্কালোনির সেই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন আলমাদা। জুলিয়ানো সিমিওনিও ভালো খেলেছেন আক্রমণ ভাগে এবং এদের প্রত্যেকেই ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে ফর্মে আছেন।

সব মিলিয়ে ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে একধরনের স্বস্তি ফিরেছে আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনির মধ্যে। আর মাত্র ১ পয়েন্ট পেলেই বিশ্বকাপের টিকিট হাতে চলে আসবে, সেই হিসাবে প্রতিপক্ষের চেয়ে অন্তত ভালো অবস্থায় রয়েছেন তিনি।

কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন ব্রাজিল, তখন কেবল পয়েন্টের সমীকরণ দিয়ে কি আর অঙ্ক মেলানো চলে। ম্যাচের পারদ চড়ার ব্যাপারটি স্কালোনি বেশ ভালোই জানেন। ‘ব্রাজিল মানে ব্রাজিলই। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা কিছু খেলোয়াড় রয়েছে ব্রাজিল দলে। আমি জানি, তারা আমাদের জন্য শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে চ্যালেঞ্জ জানাবে। তাদের আমরা সম্মান করি। তবে তাদের দল নিয়ে আমরা এরই মধ্যে বিশ্লেষণ করা শুরু করেছি। তবে এই মুহূর্তে এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না। শুধু এটুকু বলতে পারি, অনেক বড় প্রতিদ্বন্দ্বী তারা।’

সুপার ক্ল্যাসিকোর এই ম্যাচটি ঘিরে এরই মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে বুয়েন্স আয়ার্সে। আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার সভাপতি তাপিয়া জানিয়েছেন, যেহেতু ম্যাচটিতে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, তাই ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে বিশেষভাবে তারা ম্যাচটি উদযাপন করবেন। বোঝাই যাচ্ছে, একেবারে আটঘাট বেঁধে তৈরি বুয়েন্স আয়ার্স।

আর্জেন্টিনার বন্দর শহর বাহিয়া ব্ল্যাঙ্কা শহরে বন্যা চলছে। তাপিয়া জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচে গ্যালারির টিকিট বিক্রির একটি অংশ সেই বন্যার্তদের জন্য সাহায্য করা হবে। ম্যাচটিতে মেসির মতো তারকার অনুপস্থিতি অনেককেই হতাশ করেছে। তবে ডি পলের প্রত্যাবর্তনে কোচ স্কালোনি অন্তত খুশি হয়েছেন।

উরুগুয়ের বিপক্ষে না খেললেও ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে দেখা যেতে পারে ডি পলকে। ‘ব্রাজিলের ম্যাচটি আমাদের জন্য সবচেয়ে সুন্দর ম্যাচ, যা কিনা প্রত্যেক খেলোয়াড়ই খেলতে চাইবে। আগেও এমন ম্যাচ খেলেছি আমি। আশা করি, এবারও খেলতে পারব।’ একটু খোঁচাও দিয়ে রেখেছেন তিনি, ‘আশা করি, আমরা তাদের সুখ কেড়ে নিতে পারব। আমরা এই ম্যাচটি উপভোগ করতে চাই।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল আর জ ন ট ন ব শ বক প ব ছ ই আর জ ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ