অবশেষে এলো স্বস্তির খবর, হার্ট অ্যাটাকের পর শঙ্কামুক্ত হয়েছেন তামিম ইকবাল। গতকাল (সোমবার) ডিপিএল ম্যাচ চলাকালে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে, যেখানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হৃদযন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ার পর জরুরিভিত্তিতে রিং পরানো হয় এই ওপেনারকে। তখন চিকিৎসকরা জানিয়ে ছিলেন, তিনি পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন। তবে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে জানা গেছে, তামিম এখন শঙ্কামুক্ত এবং পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোনো সময় হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন।  

সাভারের কেপিজে হাসপাতালে (প্রাক্তন বেগম ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতাল) তামিমকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। গত রাত পর্যন্ত তার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। আজ সকালে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় এবং কিছুক্ষণ হাঁটারও চেষ্টা করেছেন তিনি। স্বজনরাও তার সঙ্গে দেখা করেছেন।  

তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে দুপুর ১২টার দিকে কেপিজে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.

মো. আবু জাফর। তিনি নিশ্চিত করেছেন, তামিম এখন বিপদমুক্ত এবং তিন মাসের মধ্যে মাঠে ফিরতে পারবেন। তবে তামিমের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতার জন্য সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।  

ডা. আবু জাফর বলেন, ‘সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সবসময় রোগ নির্ণয় সম্ভব হয় না। প্রথম ইসিজিতে কোনো বড় পরিবর্তন ধরা পড়েনি, তবে আজ সকালে করা ইকো রিপোর্ট ঠিক এসেছে। তারপরও যেকোনো সময় কিছু ঘটতে পারে। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্তের ওপর পরবর্তী ব্যবস্থা নির্ভর করবে।’  

গতকাল শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর তার হৃদযন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ে এবং চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং করা হয়। ডা. মারুফের চিকিৎসা এবং মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুবের সিপিআর দেওয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তার মতে, ‘সিপিআর না দিলে মস্তিষ্কে জটিলতা দেখা দিতে পারত।’  

মোহামেডানের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন জানিয়েছেন, তামিমের শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে আজ সন্ধ্যা বা রাতে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনে থাইল্যান্ডে নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?

মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।

কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। 

 

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।

 

জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)। 

 

১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।

 

ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া। 

 

অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।

 

মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ। 

 

ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ