প্রেসক্লাব এলাকায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ
Published: 25th, March 2025 GMT
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক তিন মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকাসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রথমে শ্রম ভবনে যায়।
শ্রম ভবন থেকে শ্রমিকেরা দুপুরের দিকে সচিবালয়ের দিকে রওনা হয়। শ্রমিকদের মিছিলটি প্রেস ক্লাব এলাকায় সচিবালয়মুখী রাস্তায় আসার পর পুলিশ তাদের যেতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে উত্তেজিত শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে।
এ ঘটনায় কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় উদ্ধার করা যায়নি।
পুলিশ সদস্যরা জানান, ১৪৪ ধারা জারি থাকা অবস্থায় সচিবালয় এলাকার যেকোনো সভা, সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ। কিন্তু আন্দোলনরত শ্রমিকেরা সচিবালয়ের ভেতর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।